বেতনাকে দখলমুক্ত দেখতে চাই
সাতক্ষীরা থেকে বাহলুল করিম
সাতক্ষীরায় বেতনা নদী বাঁচানোর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছে। গত শনিবার (৭ জুলাই) বেলা ১২টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে ‘বেতনা বাঁচলে সাতক্ষীরা বাঁচবে’ এই স্লোগান সামনে রেখে সাতক্ষীরা বেতনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটি ও সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চ এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
এ সময় বক্তারা বলেন, বেতনা নদী দখল হয়ে যাচ্ছে। এর চরে গড়ে উঠছে বাড়ি-ঘর, দোকানপাট ও বাজার ঘাট। এককালের খরস্রোতা বেতনা এখন এক শীর্ণকায় খালে পরিণত হয়েছে। বেতনায় এখন আর নৌকা চলে না, বেতনায় জোয়ারভাটা খেলে না, বেতনা এখন পায়ে হেঁটে পার হওয়া যায়। এর দুই তীর দখল করে প্রভাবশালীরা গড়ে তুলছেন ইটভাটা। বেতনায় আড়াআড়ি বাঁধ দিয়ে চিংড়ি চাষেও মেতে উঠেছেন প্রভাবশালীরা।
বক্তারা আরও বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ড সব ধরনের সুবিধা নিয়ে দখলদারদের সহায়তা দিচ্ছে। ফলে বেতনা দিন দিন অকার্যকর হয়ে পড়ছে।” ঝাউডাঙ্গা থেকে সুপারিঘাটা পর্যন্ত জরুরি ভিত্তিতে খননের দাবি করে তারা বলেন, “এর আগে ২০১৫ সালে বেতনা খননের নামে লুটপাট করা হয়েছে।” এতে বেতনা তীরের মানুষের এতোটুকু উপকার হয়নি উল্লেখ করে তারা আরও বলেন, “আমরা বেতনাকে দখলমুক্ত দেখতে চাই। বেতনা খনন চাই।”
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক কমিটির সদস্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, বেতনা বাঁচাও আন্দোলন কমিটির নেতা আবেদার রহমান, অধ্যক্ষ আশেক-ই-এলাহী, সাতক্ষীরা নাগরিক আন্দোলন মঞ্চের সদস্যসচিব ফাহিমুল হক কিসলু, জজ কোর্টের পিপি ওসমান গনি, জাসদ ওবায়দুস সুলতান বাবলু, অধ্যক্ষ সুভাষ সরকার, ওয়ার্কার্স পার্টির স্বপন কুমার শীল, ভূমিহীন নেতা আলি নুর খান বাবুল প্রমুখ।
বক্তারা বেতনা রক্ষায় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে আরও বলেন, “বেতনা সংলগ্ন ১২টি বিলের পানি এই নদী দিয়েই প্রবাহিত হয়। কিন্তু পলি জমে পানি নিষ্কাশিত হতে না পেরে বছরজুড়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়।” তারা আরও বলেন, “বেতনার সাথে সংযুক্ত তিনটি স্লুইস গেটের সবক’টি অকেজো হয়ে পড়েছে।” তারা অবিলম্বে বেতনা খনন এবং বেতনা দখলমুক্ত করার দাবি জানান।