বিপন্ন খাসি সংস্কৃতি-ভাষা
সিলভানুস লামিন
বাংলাদেশেও প্রায় দুই মিলিয়নেরও বেশি আদিবাসী বাস করে। সংখ্যাগত দিক থেকে বাংলাদেশে কতগুলো স্বতন্ত্র আদিবাসী নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী রয়েছে বা বসবাস করছে তার সঠিক কোনও পরিসংখ্যান আজ পর্যন্ত সরকারি নথিপত্রে পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ সরকার ‘আদিবাসী’ শব্দ নিয়েও বেশ কয়েক বছর আগে আপত্তি করেছে। সরকার বলেছে, বাংলাদেশে কোন আদিবাসী নেই; যারা আছে তারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী! স্বাভাবিকভাবেই সরকারি কোন নথিতে আদিবাসী শব্দটি আজ উধাও! তবে আদিবাসীরা তাদেরকে ‘আদিবাসী’ হিসেবে পরিচয় দিতে স্বচ্ছন্দ্ববোধ করে। সুশীল সমাজ এবং মিডিয়াও ‘আদিবাসী’ শব্দটিই বেছে নিয়েছে। সম্প্রতি পত্রিকান্তরে জানা যায় যে, বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশে বসবাসরত ৫০টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে। যাই হোক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের হিসেব অনুযায়ী বাংলাদেশে ৪৫টিরও অধিক স্বতন্ত্র আদিবাসী নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত মানুষ বসবাস করে। তার মধ্যে খাসি অন্যতম। বাঙালিদের সাথে একই ভৌগলিক সীমারেখার মধ্যে বসবাস করলেও এই খাসিসহ এসব জনগোষ্ঠেীর প্রত্যেকেরই রয়েছে আলাদা আলাদা ভাষা, ঐতিহ্য, সাহিত্য, লোকগাঁথা, সাংস্কৃতিক চর্চা ও স্থানীয় জ্ঞান। আদিবাসীদের নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে এদেশের সংস্কৃতি বহুমাত্রিকতা লাভ করেছে। কিন্তু বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর বিভিন্নমুখী ক্ষমতার চর্চার নেতিবাচক প্রভাব, তথা বিশ্বায়নের প্রবল জোয়ারে আদিবাসীদের সংস্কৃতি আজ বিপন্ন প্রায়।
সমাজ হচ্ছে কয়েকটি পরিবারের সমষ্টিতে গঠিত একটি সংগঠন বা প্রতিষ্ঠান। সমাজ মানুষের সামাজিক, সাংস্কৃতিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আচরণ, মূল্যবোধ ও বিশ্বাস নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিটি সমাজে আলাদা নিয়ম-কানুন, রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠান রয়েছে, যার মাধ্যমে ওই সমাজে মানুষের আচরণ নিয়ন্ত্রিত হয়। সমাজ মানুষকে সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে জীবনযাপনে সহযোগিতা করে। ১৫ শতকের দিকে Society শব্দটির ব্যবহার শুরু হয়। ফ্রান্সের société শব্দ থেকে এটি আর্বিভাব হয়। আবার société ’শব্দটি ল্যাটিন societas শব্দ থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে যার অর্থ হলো ‘অন্যের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সহচার্যতা’। শব্দগত দিক থেকে তাই সমাজ বলতে চারপাশের মানুষের সাথে ভালো আচরণ, বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপনকে নির্দেশ করে।
অন্যদিকে Culture শব্দটি ল্যাতিন শব্দের Cultura থেকে এসেছে। এই Cultura শব্দটি আবার Colere থেকে উৎপত্তি হয়েছে যার অর্থ হলো ‘আবাদ করা’। শব্দগত দিক থেকে তাই সংস্কৃতি হচ্ছে একটি চর্চিত বিষয়। এটি স্থবির নয়; গতিশীল। নৃবিজ্ঞানের ভাষায় সংস্কৃতি বলতে নিদির্ষ্ট সমাজে বসবাস করা কোন জনগোষ্ঠীর অর্জিত সমন্বিত মূল্যবোধ, বিশ্বাস এবং জীবনাচরণের কিছু নিয়ম-কানুন, যা সেই সমাজে গ্রহণীয় আচরণবিধির মাত্রা ব্যাপক করে তোলে। সংস্কৃতির অর্থ ও প্রকৃতি ব্যাপক। একে কোনও একটি সংজ্ঞায় আটকে রাখা যায় না। সংস্কৃতিকে কখনও পরিমাণগতভাবে চিহ্নিত করা যায় না। এটি মানুষের অবচেতন মনেও বিরাজ করে। সংস্কৃতি মানুষের পুরো জীবন প্রক্রিয়ার সাথেই প্রকাশ্যে ও গোপনে সম্পৃক্ত। সংস্কৃতি যেমন সংকেতায়ন করে তেমনি এটি সংকেত এর অর্থ উদ্ধার করে। সংস্কৃতি একটি গতিশীল প্রক্রিয়া। বিশ্বের সমাজের পরিবর্তনের সাথে সাথে মানুষের সংস্কৃতিরও পরিবর্তন হচ্ছে, নতুন নতুন উপসংস্কৃতির উৎপত্তি হয়েছে।
সংস্কৃতি হচ্ছে জীবনের প্রতিছবি। অন্যদিকে মানুষের সার্বিক জীবনাচরণকেও সংস্কৃতি বলা যায়। সংস্কৃতি বলতে কতগুলো মনোভাব, বিশ্বাস, রীতিনীতি, কৃষ্টি, আচার-অনুষ্ঠান, ভাষা, আবেগ ও অনুভূতিকে বুঝায়, যা কোন সমাজের ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল ও তাৎপর্য করে। মার্ক্সের মতে, অর্থনীতিই মূলত সংস্কৃতিকে প্রভাবিত করে। বলা চলে যে, সংস্কৃতি পেশার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কযুক্ত। সমাজে বাস করতে গিয়ে মানুষ সমাজের আচার-আচরণ, ধ্যান-ধারণা, মূল্যবোধ ইত্যাদি অনুকরণ করে। সামাজিকীকরণ প্রক্রিয়ায় সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষ যা’ অর্জন করে তাই তার সংস্কৃতি। নৃবিজ্ঞানী E,B. Tylor এর ভাষায় Culture is that complex whole which includes knowledge, belief, art, moral, law, customs and any other capabilities and habits acquired by man as a member of society.” সংস্কৃতি মানুষকে জীবনের রূপরেখা দান করে।
বলা হয় কোনও জাতিসত্তার আসল পরিচয় জানা যায় তার সংস্কৃতির মাধ্যমে। একটি জাতিসত্তার সংস্কৃতি বাঁচলে সে জাতিসত্তার নাম পৃথিবীর মানচিত্রে কখনও মুছে যেতে পারে না। সংস্কৃতি বাঁচাতে হলে প্রয়োজন শক্ত সামাজিক নিয়ম-কানুন। তবে দুঃখের সাথেই বলতে হয় যে, বাংলাদেশে বসবাসরত খাসি জনগোষ্ঠীর সমাজব্যবস্থা খুবই ভঙ্গুর। বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের সিলেট, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জে আনুমানিক ২৫ থেকে ৩০ হাজার খাসিয়া আদিবাসী বাস করে। পান, সুপারি, আনারস, লেবু চাষই এই সম্প্রদায়ের জীবিকা নির্বাহের প্রধান অবলম্বন। বাংলাদেশে খাসি সমাজটা আসলে গড়ে উঠে পানচাষকে কেন্দ্র করে। তাই উৎসবসহ নানান সামাজিক আচার-আচরণ, রীতি-নীতি গড়ে উঠে এই পানচাষকে কেন্দ্র করেই। এক সময় খাসি সমাজ ও সংস্কৃতি খুব সৃমদ্ধ ছিলো বলে শোনা যায় কিংবা বিভিন্ন খাসি লেখকের লেখনিতে জানা যায়। কিন্তু বর্তমানে বাংলাদেশের খাসি সংস্কৃতি ও সমাজ নানা কারণে বিপন্ন।
বাংলাদেশের খাসিদের প্রধান সমস্যা হলো ভূমি সমস্যা। এ সমস্যা থেকে উদ্ভূত হয়েছে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা, যা খাসি ও সমাজকে দিনকে দিন বিপন্ন ও বিপর্যস্ত করে তুলেছে। উপরোন্ত শিক্ষা-দীক্ষার হার কম হওয়ার কারণে সমাজের উন্নয়নে কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে, বা সমাজের আচার-অনুষ্ঠান চর্চার মাধ্যমে কীভাবে সংস্কৃতিকে ধরে রাখা কিংবা সমাজটাকে আরও গতিশীল করা যায় সে সম্পর্কে আমাদের সমাজ নেতাবৃন্দের পর্যাপ্ত জ্ঞান ও ধারণা দু’টিই নেই। ফলে আস্তে আস্তে খাসি সমাজের মৌলিক বৈশিষ্ট্য থেকে সরে এসে বর্তমান প্রজন্মরা মূলধারার প্রাধান্যশীল সমাজ ব্যবস্থার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। তাই তো আজ প্রাধান্যশীল সমাজব্যবস্থার সংস্কৃতি খাসিদের সমাজের সংস্কৃতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে; নতুন প্রজন্মরা সে সংস্কৃতি চর্চা করছে। অথচ স্বতন্ত্র জনগোষ্ঠী হিসেবে খাসি আদিবাসীদের আলাদা ভাষা, মনোভাব, বিশ্বাস, আচার-অনুষ্ঠান, রীতিনীতি, আইন-কানুন রয়েছে, যেগুলো চর্চার মধ্য দিয়ে একজন খাসি আদিবাসী অন্যের চেয়ে আলাদা বলে পরিচিতি লাভ করেন বা তার খাসিত্বকে প্রকাশ করতে পারে। কিন্তু ওই প্রাধান্যশীল সংস্কৃতির সহচার্যতায় বেশি আসার কারণে নতুন প্রজন্মরা তাদের নিজের সংস্কৃতিকে ‘বিদেশি’ সংস্কৃতি বলে মনে করতে শুরু করে। দৈনন্দিন জীবন-যাপনে এই সংস্কৃতি চর্চা থেকে তারা বিরত থেকেছে কিংবা খাসি সংস্কৃতি চর্চা করতে লজ্জা পাচ্ছে। এসব কিছু হয়েছে মূলত দূর্বল সমাজ কাঠামো এবং রীতিনীতির কারণে। তবে আধুনিকায়ন ও বিশ্বায়নও এক্ষেত্রে অনেকটা ভূমিকা রেখে চলেছে; বিশেষ করে সমাজের শিক্ষিত অংশের মধ্যে বিশ্বায়ন ও আধুনিকায়ন গভীর রেখাপাত করেছে বলা যায়। ফলে বিশ্বায়ন ও আধুনিকায়নের কারণে বিশ্বের অনেক জনগোষ্ঠীর সংস্কৃতির মতো খাসি সংস্কৃতি ও সমাজও অনেকটা বিপন্ন।
বাংলাদেশে প্রায় ১০০টি পুঞ্জি (গ্রাম) রয়েছে। তবে নানা বঞ্চনা, শোষণ, নির্যাতন, ভূমি দখলের কারণে আজ এই গ্রাম সংখ্যা কমে যাচ্ছে। অনেকে নিজ বসতভিটা থেকে বিতাড়িত হয়ে যাযাবর জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছে। ফলশ্রুতিতে সেই গ্রামে গড়ে ওঠা সমাজব্যবস্থা, আচার-অনুষ্ঠান ভেঙে পড়ে, গ্রামের মানুষেরা বিচ্ছিন্ন হয়ে বিভিন্ন স্থানে চলে যাওয়ায় একটা স্থায়িত্বশীল সমাজব্যবস্থা গড়ে উঠতে পারেনি। এতে করে সমাজ ও সংস্কৃতি উভয়ই বিপন্ন হয়ে পড়ে। একটি স্থায়ী আবাস্থল হলে খাসি সমাজ ও সংস্কৃতি একটি শক্ত ভিত্তির ওপর পড়ে উঠতে পারে বলে অনেকে মনে করেন। অন্যদিকে খাসিদের ভূমি সমস্যাসহ অন্যান্য সমস্যার কারণে তাদের সমাজব্যবস্থা খুব শক্ত একটি ভিত্তির ওপর গড়ে উঠতে পারেনি। ফলে প্রধান্যশীল সংস্কৃতি ও সমাজব্যবস্থার সাথে সংস্পর্শে বা সহচার্যতার আসার সাথে সাথে সেই সমাজের সংস্কৃতি হারিয়ে যেতে শুরু করে। বাংলাদেশে বসবাসরত খাসিদের জীবনব্যবস্থার প্রায় পুরোটা সময় ধরেই মূলধারার মানুষের সাথে ওঠাবসা, আদান-প্রদান ও মিথস্ত্রিয়া করতে হয়। দীর্ঘদিন ধরে মিথস্ত্রিয়ার কারণে মূলধারার সংস্কৃতি খাসি সমাজের সংস্কৃতিতে প্রবেশ করে এবং আস্তে আস্তে সেই সংস্কৃতি খাসিদের জীবনব্যবস্থায় শেকড় গাড়ে। এভাবে প্রতিনিয়ত মূলধারার সমাজব্যবস্থা ও সংস্কৃতির সাথে মিথস্ক্রিয়ার কারণে খাসি সমাজের নিজস্ব কাঠামো, সংস্কৃতি হারিয়ে যায়। শিক্ষা-দীক্ষার অভাবে কারণে অনেক খাসি নিজস্ব সংস্কৃতির গুরুত্ব উপলদ্ধি করার মতো বুদ্ধিবৃত্তিক সক্ষমতা না থাকায় এসব প্রাধান্যশীল সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরে। এছাড়া বাংলা ভাষার মাধ্যমে শিক্ষালাভের কারণে সমাজের শিক্ষিত অংশরা এই ভাষার ও সমাজের বিভিন্ন কৃষ্টি, সংস্কৃতি, ভাষা, গৌরবগাঁথা, ঐতিহ্যের সাথে পরিচিত হয় এবং এটি চর্চা করতে অভ্যস্ত হয়ে পড়ে। ফলে তাদের মানসপটে আস্তে আস্তে নিজের সংস্কৃতি ও সামাজিক নিয়ম-কানুন হারিয়ে যেতে শুরু করে। এভাবে খাসি সমাজ ও সংস্কৃতি বিপন্ন হচ্ছে।
খাসি সংস্কৃতি, ভাষা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের সরকারি ও বেসরকারিভাবে কোন উদ্যোগ চোখে পড়ে না। খাসি শিশুরা তাদের মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। শিক্ষিত অংশের বেশির ভাগ খাসি মানুষ জীবন ও জীবিকার জন্য পুঞ্জি (গ্রাম) থেকে দূরে থাকেন। খাসি সংস্কৃতি, ভাষা চর্চার জন্য সাধারণ খাসিদের উদ্বুদ্ধ করার মতো সহায়ক খুঁজে পাওয়া যায় না। কিছু এনজিও ক্ষুদ্র পরিসরে খাসিদের সংস্কৃতি ও ভাষা চর্চা বিষয়ক ইস্যুতে কাজ করলেও সেগুলো মূলত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান ও নাচের মধ্যে সীমাবদ্ধ। খাসিদের গ্রামের খাসিদের ভাষায় পড়ালেখার কোন সুযোগ নেই। খাসিদের এলাকায় সরকারি বা বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা হতো গোণা। এসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ালেখার মাধ্যম হচ্ছে বাংলা। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পড়ালেখা সম্পন্ন করে কোন খাসি শিশু নিজ গ্রামে উচ্চ বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার সুযোগ পায় না। তাকে শহরে এসে পড়তে হয়। শহরের এসে কোন ছাত্র/ছাত্রীবাসে থাকতে হয় যেখানে তাকে প্রতিনিয়ত বাংলায় কথা বলতে হয় অন্যদের সাথে যোগাগের জন্য। অথচ যদি খাসিদের এলাকায় উচ্চ বিদ্যালয় থাকতো তাহলে এসব শিশুরা নিজ গ্রামে বা এলাকায় থেকে পড়ালেখা যেমন করতে পারবে তেমনি নিজ ভাষার চর্চাও করতে পারবে। বলতে গেলে পুরো শিক্ষাজীবনেই খাসি শিক্ষার্থীদেরকে বাইরে থাকতে হয় যেখানে তারা নিজেদের ভাষা, সংস্কৃতি, প্রথা চর্চা করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। তাই তো তারা যখন গ্রামে যায় মাতৃভাষায় কথা বলার চেয়ে বাংলা ভাষাতেই বেশি কথা বলতে স্বচ্ছন্দবোধ করে। খাসি ভাষা, সংস্কৃতি ও প্রথা অনুশীলনে তাদের মধ্যে অনীহা দেখা দেয়! অন্যদিকে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারের ফলে আজ ইন্টারনেট গ্রামেও প্রবেশ করেছে। আজ অনেক শিক্ষিত ও অশিক্ষিত খাসি যুবক ও যুবতীদের ফেসবুক একাউন্ট আছে! ফেসবুকের মাধ্যমে অন্য ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে পরিচিত হয়; আকৃষ্ট হয়। নিজের সংস্কৃতি এভাবেই হারিয়ে যায়।