প্রবীণদের অধিকার সুরক্ষায় সবাইকে সচেতন হতে হবে
মানিকগঞ্জ থেকে মো. মাসুদুর রহমান
‘‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় প্রবীণদের স্মরণ পরম শ্রদ্ধায়’’ এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলক্ষে বেসরকারি সামাজিক গবেষণা ধর্মী প্রতিষ্ঠানবেতিলা বাজার, হাটিপাড়া ইউনিয়নের বরুন্ডী গ্রামে, সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী জজ বাড়িতে নানান কর্মসূচি পালন করেছে।
আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবস কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রবীণদের হাডুডু খেলা, নারী প্রবীণদের বালিশ খেলা, পাতিলভাংগা, কিচ্ছার আসর, প্রবীণদের জীবনের গল্প শোনা এবং বট, তাল, কৃষ্ণচূড়া বৃক্ষ রোপণসহ আলোচনা সভা ও প্রবীণ অধিকার বিষয়ক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন। এসব কর্মসূচির মাধ্যমে বারসিক ও অন্যান্য সংগঠনগুলো যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে প্রবীণ দিবসটি পালন করে। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জেলাপ্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে সংস্থাটির সাংস্কৃতিক দলের সদস্যগণ প্রবীণ অধিকার সুরক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য গান পরিবেশন করেন।
আন্তর্জাতিক প্রবীণ দিবসের বিভিন্ন কর্মসূচিগুলোর উপস্থিত ছিলেন প্রবীণ অধিকার সুরক্ষা সিংগাইর এবং মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা কমিটির সমন্বযক আ: ছালাম খান, মো: হাবিবুর রহমান এবং মো. আমিনুল ইসলাম কোহিনুর এবং বারসিক’র কর্মকর্তাসহ নানান শ্রেণীর ও পেশার মানুষ।
আমিনুল ইসলাম কোহিনুর আলোচনায় জানান, সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সাংস্কৃতিক দলের মাধ্যমে তারা ২০১৫ সাল থেকে জাতীয় প্রবীণ নীতিমালা ২০১৩, পিতামাতা ভরণপোষণ আইন, প্রবীণদের প্রতি পারিবারিক ও সামাজিক মর্যাদা এবং প্রবীণ নির্যাতন প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং জ্যোষ্ঠ নাগরিক হিসাবে হাসপাতালে আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা, পরিবহনে সংরক্ষিত আসনসহ সরকারি, বেসরকারি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানে প্রবীণদের আলাদা লাইনের ব্যবস্থা এবং বয়স্ক ভাতা বাড়ানোর দাবি নিয়ে অধিকারভিত্তিক সাংস্কৃতিক প্রচারাভিযান চালিযে যাচ্ছে।
আগত দর্শক ও ইউনিয়ন সাংস্কৃতিক দলের কর্মীগণ মনে করেন, দিন দিন প্রবীণদের সংখ্যা বাড়ছে সেই সাথে পরিবারে প্রবীণদের প্রতি অবহেলা ও অযত্ন বাড়ছে পাশাপাশি যৌথ পরিবার ভেঙ্গে যাওয়ায় নবীন প্রবীণের দূরত্ব বেড়ে গেছে। এই সেতুবন্ধন তৈরির জন্য পরিবারের সকল সদস্য ও যুবদের সচেতনতা বাড়াতে হবে। আর এই কাজটি একমাত্র সাংস্কৃতিক প্রচারাভিযানের মাধ্যমে সম্ভব। তারা জানান, শুধুমাত্র দিবস উদযাপনের মধ্যে না থেকে আলোচনা সভা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক প্রচারাভিযান অব্যাহত রাখা প্রয়োজন।