পটল চাষে আজিজ জীবনের সফলতা
রাজশাহী থেকে মো. রনজু আকন্দ
নাচোল উপজেলার কসবা ইউনিয়নের খড়িবোনা গ্রামের আজিজ জীবন। তিনি ৫০ শতাংশ জমিতে এই প্রথম পটল চাষ করে সংসারে স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন। আজিজ ধান চাষের পাশাপাশি এ পটল চাষ করে খরচ বাদ দিয়ে এ বছর ৪০ হাজার টাকা আয় করেছেন বলে তিনি জানান। আজিজের বড় ছেলে বাবু জানান, তাদের এলাকায় পটল চাষ হবে তা তারা কখনই ভাবেননি। পটল চাষে জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা আগামীতেও এ সবজি চাষ করবেন বলে তিনি জানান।
আজিজ জীবনের এই সফল্যের পেছনে বারসিক প্রত্যক্ষভাবে সহযোগিতা করে। বারসিক’র সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার কারণে তিনি অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্য গাইবান্দা জেলা পরিদর্শন করেছেন যেখানে তিনি প্রশিক্ষণ লাভ করেন। ওই এলাকার কৃষকদের সাফল্য তাকে উৎসাহিত করে। তিনি ওই জেলার কৃষকদের কাছ থেকে পটল চাষ কৃষি সম্পর্কে নানান অভিজ্ঞতা অর্জন করেন।
আজিজ জীবন জানান, আগামি বছর নুতন করে চারা আর লাগাবেন না। কারণ এখন যে চারা আছে সেটা ঠিকমতো পরিচর্যা করলে ডাবল ফলন পাওয়া যাবে বলে তিনি মনে করেন। তাঁর পটল চাষ দেখতে খড়িবোনা পাইকোরা জোরপুকুর গ্রামের অনেক কৃষক তাঁর মাঠ পরিদর্শন করেন। তাই তিনি আশা করছেন, তাকে দেখে আগমীতে এ এলাকায় ব্যাপক আকারে পটল চাষ করা হবে।
তিনি জানান, পটল চাষে কম সেচ লাগে। তাঁর মতে, ধান চাষে ১৩ -১৪ বার সেচ দেয়া লাগে কিন্তু পটল চাষে মাত্র একবার সেচ দিলেই হয়। তিনি আগ্রহী কৃষকদেরকে বিনামূল্যে বীজ দিবেন যাতে করে তাঁরাও লাভবান হতে পারেন। খরাপ্রবণ এলাকায় এই খরা সহনশীল সবজি চাষে কৃষকদেরকে আরও উৎসাহিত করবে।