করোনাবিরোধী ইম্মিউনিটি বুস্টার সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক-উদ্ভাবক ড. এম এ হুসেন

মানিকগঞ্জ থেকে মো.নজরুল ইসলাম

স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলি, করোনা ভাইরাসে না বলি’ এই স্লোগানকে ধারণ করে কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর একটি ইমিউনিটি বুস্টার বিষয়ক অনলাইন মাধ্যমে মানিকগঞ্জ বারসিক’র আয়োজনে আজ ২৯ আগস্ট আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সিংগাইর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আকরাম হুসাইন এর সভাপতিত্বে ও বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারি বিমল রায়ের সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক হিসেবে আলোচনা রাখেন মানিকগঞ্জ সিংগাইর অঞ্চলের কৃতি সন্তান ও প্রবাসী সিংগাপুর ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মলিকিউলার বায়োলজিস্ট এর গবেষক এবং করোনা বিরোধী ইমিউনিটি বুস্টার এর উদ্ভাবক ড. এম এ হুসেন।

এছাড়াও প্রশ্নোত্তর পর্বে আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন মানিকগঞ্জ জেলা মানবধিকার ফোরাম এর সভাপতি এ্যাড.দিপক কুমার ঘোষ, প্রফেসর উর্মিলা রায়, বারসিক নির্বাহী প্রধান সুকান্ত সেন, প্রতিবেশীয় গবেষক পাভেল পার্থ, বিশিষ্ট উন্নয়নকর্মী এডওয়ার্ড জামান, বারসিক রাজশাহী অঞ্চল প্রধান মো. শহিদুল ইসলাম, সাতক্ষিরার বাবলূ জোয়ার্দার, হরিরামপুর চরাঞ্চল থেকে সত্যরঞ্জন সাহা, শাহিনুর রহমান, মীর নাদিম প্রমুখ।

আলোচনায় উদ্ভাবক ড. এম এ হুসেন বলেন, ‘আমি বিজ্ঞানের ছাত্র ছিলাম এবং ছোটবেলা থেকেই শ্বাস, কাঁশসহ ঠান্ডাজনিত নানা রোগে ভুগতাম। আমার টনসিল সমস্যায় অপারেশন করা হলেও কোন কাজে আসেনি। তারপর আমি এই বিষয়ের উপর দীর্ঘদিন গবেষণা করতে থাকি। ঢাকা বিম্ববিদ্যালয়ের ফামেসি বিভাগে লেখাপড়া শুরু করলেও স্কলারশিপ পেয়ে ভারতের চন্ডিগড়ে পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের মলিউকুলার বায়োলজি তথা ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া সংক্রান্ত অণুবিজ্ঞান এর উপর উচ্চতর ডিগ্রীর পর আবার বায়োকেমিস্ট এর উপর স্কলারশীপ পেয়ে সিংগাপুর ন্যাশনাল ইউনিভর্সিটি থেকে পিএইডি ডিগ্রী অর্জন করি এবং মানুষের সাধারণ রোগভিত্তিক কিছু ফরমুলা নিয়ে গবেষণা শুরু করি।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রিলিমিনারী এই গবেষণার মধ্যে প্রথম সারিতে আছে করোনা বিরোধী ইমিউনিটি বুস্টার। এটি আসলে সাধারণ ফলমূলের রস থেকে এবং রাসায়নিক কিছু উপাদান দিয়ে তৈরি করা এক ধরনের বুস্টার । এটি প্রয়োগে করোনা রোগীর শক্তি বল ও ইমিউনিট বৃদ্ধি পেয়েছে তার প্রমাণও মিলেছে। তাই আমি এটিকে সরকার ও আপনাদের মাধ্যমে প্রান্তজনের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই।’

happy wheels 2

Comments