পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় জাতের বিকল্প নাই
বিউটি সরকার,সিংগাইর,মানিকগঞ্জ
জলবায়ু পরিবর্তনে সহনশীল ও এলাকা উপযোগী জাত বাছাই এবং নির্বাচনের লক্ষ্যে গতকাল সিংগাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের নয়াবাড়ী কৃষক নেতৃত্বে প্রায়োগিক কৃষি গবেষনা প্লটে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উক্ত মাঠ দিবসে নয়াবাড়ী, বায়রা ও গাড়াদিয়া কৃষক সংগঠনের সদস্য ছাড়া ও এলাকার অন্যান্য কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। শুরুতে উপস্থিত কৃষক-কৃষাণীরা মাঠ পরিদর্শন ও ধানের জাত পর্যবেক্ষণ করেন এবং কোন জাত ভালো লেগেছে ও কোন জাত খারাপ লেগেছে এবং কি কারণে খারাপ ও ভালো লেগেছে তার মন্তব্য করেন।
এক পর্যায়ে মাঠ দিবসের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সদস্যদের সাথে আলোচনা করেন নয়াবাড়ী কৃষক সংগঠনের সভাপতি ইমান আলী, গবেষণা প্লটের সার্বিক দায়িত্বে থাকা কৃষক ইব্রাহিম মিয়া, গাড়াদিয়া কৃষক সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদা বেগম এবং বারসিক কর্মসূচি সমন্বয়কারী শিমুল বিশ্বাস।
আলোচনায় কৃষক ইমান আলী বলেন, ‘মাঠ দিবসের মাধ্যমে ধানের কোন জাতটা ফলন বেশি, কোন জাত অল্প দিনে হয় তা জানতে পারবো। এছাড়া আমাদের এলাকা উপযোগী জাত নির্বাচন করতে পারবো।’ কৃষক ইব্রাহিম মিয়া বলেন, ‘গবেষণার মাধ্যমে কোন জাতে পোকা কম লাগে,কোন জাতে পানি কম লাগে আবার পানি বেশি লাগে তা জানা যায়।’ এছাড়া তিনি সবাইকে জৈব সার ও বালাইণাশক ব্যবহার করার পরামর্শ প্রদান করেন যার মাধ্যমে মাটি ভালো থাকা ও পাশাপাশি খাবার নিরাপদ থাকা এবং খরচ কম ও লাভ বেশি হবে বলে তিনি মনে করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষায় স্থানীয় জাতের বিকল্প নাই।’ তিনি সবাইকে স্থানীয় জাত সংরক্ষণের পরামর্শ প্রদান করেন। শিমুল বিশ^াস কৃষকদেরকে কোন জাত ভাল লেগেছে তা অন্যদেরকে জানানো এবং তাদের পরামর্শ ও মন্তব্যের ভিত্তিতে পরবর্তী গবেষণা কাজ করার পরামর্শ প্রদান করেন।
আলোচনার শেষে কৃষাণীরা ধানের জাত বাছাই ও নিবার্চন করেন । ১৮ জন কৃষক-কৃষাণী জিরাশাইল, বাশমতি এবং রয়েল ধান নির্বাচন করেন এবং আগামী বছর এ জাতগুলো বর্ধনের সুপারিশ করেন। পাশাপাশি কৃষক-কৃষাণীরা গবেষণা প্লটের ধান কর্তন করেন।
উল্লেখ্য যে, কৃষক নেতৃত্বে এই গবেষণা প্লটে ১৫ প্রকারের ধানজাত নিয়ে গবেষণা করা হয় এবং এ গবেষণা প্লটের নিয়মিত পরিচর্যা ও সার্বিক দায়িত্ব পালন করেন কৃষক-কৃষাণী সংগঠনের সদস্যরা।