পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পলিথিনমুক্ত গ্রাম তৈরি করি
রাজশাহী থেকে উত্তম কুমার
রাজশাহীর তানোর উপজেলাধীন গোকুল মথুরা এলাকার গোকুল মথুরা মাদ্রাসা মাঠ প্রাঙ্গনে শিশু কিশোরদের নেতৃত্বে পরিচালিত “স্বপ্নচারী ইমপ্যাক্ট প্লাস গ্রুপ” কর্তৃক আয়োজিত জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রচারাভিযান এর অংশ হিসেবে পলিথিন/প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি।
উক্ত কর্মসূচিতে স্বপ্নচারী ইমপ্যাক্ট প্লাস দল এর মোসাঃ জেসমিন খাতুন এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোসাঃ সুইটি আক্তারের পরিচালনায় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন গোকুল মথুরা দাখিল মাদ্রাসার সহঃ সুপার মোঃ জোবায়ের হোসেন। ইমপ্যাক্ট প্লাস দল এর সদস্যবৃন্দের পাশাপাশি অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মোঃ অমিত হাসান, সাধারণ সম্পাদক, স্বপ্নচারী যুব উন্নয়ন সংস্থা, রুবেল হোসেন মিন্টু, সেলিম উদ্দিন, বারসিকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ প্রমুখ।
কর্মসূচিতে পলিথিন/ প্লাস্টিক বর্জ্যের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয় এবং মাঠের পলিথিন/ প্লাস্টিক বর্জ্য ডাষ্টবিন ফেলার জন্য প্রাকৃতিকভাবে বাঁশ ও বস্তা দিয়ে ডাষ্টবিন তৈরি করে দেয়া হয় । গ্রামটিকে সর্বমোট ১৮টি ডাস্টবিন তৈরি করে দেওয়া হয় এবং তা ব্যবহারের জন্য সকলকে অনুরোধ জানানো হয়। অনুষ্ঠানে বলা হয়, পলিথিনযুক্ত কোন পণ্য যদি কেউ ক্রয় করে, তাহলে সেটি যেখানে সেখানে না ফেলে ডাস্টবিনে ফেলার অনুরোধ জানানো হয়।
এই বিষয়ে স্বপ্নচারী যুব সংঘের সভাপতি রুবেল হোসেন মিন্টু বলেন, ‘প্রতিনিয়তই পরিবেশের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে এই পলিথিনের মাধ্যমে। যেটি মাটির মধ্যে ৪০০ থেকে ৫০০ বছর অব্দি থাকে। আমরা সকলে মিলে যদি এখনই সচেতন না হয় তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চরম হুমকির মুখে পড়বে।’
তরুণদের এই উদ্যোগে ফলে এলাকায় পলিথিন ও প্লাস্টিক এর ব্যবহার কমেছে। আগের তুলনায় এলাকার বিভিন্ন স্থানে যেখানে সেখানে পলিথিন পড়ে থাকতে দেখা যায় না গ্রামে। সবাই এসব প্লাস্টিক ডাস্টবিনে ফেলেন এখন। এই ঘটনাটি শুনে অনেক সরকারি কর্মকর্তা যেমন ইউএনও ,ওসি এবং সমাজ সেবা কর্মকর্তা গ্রামটি পরিদর্শন করেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরুণদের এই উদ্যাগকে প্রশংসা করেন এবং আরও উদাহরণ তৈরি করার আহ্বান জানান।