কালমেঘা গ্রামের সার্বজনীন শশ্নান ঘাট সংস্কারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা

সাতক্ষীরা, শ্যামনগর থেকে বিশ্বজিৎ মন্ডল

কালমেঘা কৃষি নারী সংগঠন ও উপজেলা জনসংগঠন সমন্বয় কমিটির উদ্যোগে ও বারসিক’র সহায়তায় শ্যামনগর উপজেলার সদর ইউনিয়নের কালমেঘা গ্রামের সার্বজনীন শশ্নানঘাট সংস্কারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনায় উপজেলা নির্বাহী বরাবর আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে সম্প্রতি। আবেদনপত্রে কালমেঘা গ্রামের শশ্মান ঘাটের বর্তমান চিত্র তুলে ধরা হয়।

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর মতে, ‘কালমেঘা গ্রামটিতে প্রায় ৭০ ভাগ হিন্দু ধর্মাবলী মানুষ বসবাস করে। ১৯৯৩ সালের দিকে গ্রামটিতে লবণ পানির চিংড়ি চাষ শুরু হলে বসতভিটা ও কৃষি জমির পরিমাণ কমে যেতে থাকে। ফলে গ্রামের হিন্দু কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে তার সৎকারের জন্য কালমেঘা গ্রামের খাস খাল পাড় সার্বজনীন ভ্রাম্যমান শশ্মান ঘাট হিসেবে ব্যবহৃ হতো। এছাড়াও কোন ব্যক্তির মৃত্যু হলে তা নিজের ভিটায় যার ভিটা নেই সে খালের দু পাড়ে, নদীর চরে সৎকারের কাজ করেন। বিগত সময়ে সংগঠনের উদ্যোগে ইউনিয়ন পরিষদের সহায়তায় গ্রামের মানুষের দাহ কাজে ব্যবহারের জন্য কালমেঘা-সোয়ালিয়া খালের চরে সরকারি খাস জায়গার কিছু অংশ নির্ধারণ করে দেওয়া হয়।’
স্থানীয় জনগোষ্টীর জানান, শশ্মানের জায়গাটি নদীর চরে হওয়ায় অনেক নিচু। প্রায় ১০ বছর আগে সংগঠনের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের সাথে যোগাযোগ করে শশ্মানের আংশিক মাটি দিয়ে ভরাট করে দেন। এরপর থেকে দীর্ঘদিন মাটি না দেওয়ায় এবং সংরক্ষণের জন্য কোন ব্যবস্থা না থাকায় সেটি আবার খালের সাথে মিশে গেছে। এমতাবস্থায় শশ্মান ঘাটটি মাটি দিয়ে উচুকরা এবং শশ্মান ঘাটের চারিধারে পাকা প্রাচীর ও শবদাহের জায়গা পাকা হলে শশ্মান ঘাটের একটি উপযুক্ত পরিবেশ তৈরী হবে।’
তারা বলেন, ‘শশ্মান ঘাট সংস্কার এবং উপযুক্ত পরিব্শে তৈরির জন্য যে ব্যয়ভার তা আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে বহন করা সম্ভব নয়। শশ্মান ঘাটটি সংস্কার হলে কালমেঘা ও কল্যাণপুর হিন্দু ধর্মাবলী মানুষের সতকারের একটি পরিবেশ তৈরি হবে সাথে এলাকার পরিবেশও সুরক্ষিত হবে। ’
এমতাবস্থায় স্থানীয় জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন ও এলাকার পরিবেশ সুরক্ষায় কালমেঘা গ্রামের সার্বজনীন শশ্মান ঘাটটি সংস্কার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

happy wheels 2

Comments