মানিকগঞ্জে উচ্ছে চাষে স্বাবলম্বী ২০০ কৃষক
আব্দুর রাজ্জাক, মানিকগঞ্জ ॥
মানিকগঞ্জের ঘিওরে উচ্ছে চাষ করে অনেক চাষী স্বাবলম্বী হয়েছে। উপজেলার বালিয়াখোড়া, ঘিওর সদর, সিংজুরি, বড়টিয়া এলাকাগুলোতে সবচেয়ে বেশি ফলন হয়েছে এই সবজির। আর খরচের চেয়ে দুইগুণ বেশি লাভবান হওয়ায় চাষীরা বেশ খুশি।
বর্তমানে অন্য সবজি কম আবাদ হওয়ায় এই সবজি হাটে-বাজারে ক্রেতার ব্যাপক চাহিদা থাকায় দাম পাচ্ছে পাইকারদের কাছ থেকে। বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের বাষ্টিয়া, পুখরিয়া, ভালকুটিয়া, চৌবাড়িয়া, আংগার পাড়া, চঙ্গ শিমুলিয়া এলাকার প্রায় দুইশত একর জমিতে উচ্ছে চাষ হয়েছে। এসব এলাকায় ব্যাপক হারে হয়েছে উচ্ছে এই সবজির চাষ। চাহিদার অনুযায়ী ফলন বেশি হওয়াতে অনেক কৃষকের মুখে হাসির জোয়ার। জানা যায়, এলাকার উচ্ছে স্থানীয় হাট-বাজারের চাহিদা মিটিয়েও জেলার বাস স্ট্যান্ড আড়ৎ, বাইপাইল, কাওরান বাজারে বিক্রি হচ্ছে।
উপজেলার কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, রপ্তানিযোগ্য সবজি উৎপাদন বিশেষ কর্মসূচির আওতায় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ২৫০ হেক্টর জমিতে চলতি মওসুমে সবজি চাষাবাদ করা হয়েছে।
বাষ্টিয়া গ্রামের চাষী সামছুল হক বলেন, “এবার আমি ৭ বিঘা জমিতে উচ্ছে চাষ করেছি। চাষ করতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। এখন পর্যন্ত ১০-১২ ধাপ উচ্ছে উঠানো হয়েছে। মানিকগঞ্জ বাস স্ট্যান্ড পাইকারি আড়তে ২৫- ৩০ টাকা করে বিক্রি করেছি ২ লাখেরও বেশি। আরও এরকমই বিক্রি করতে পারবো বলে আশা করছি।”
একই এলাকার ফরমান আলী উচ্ছে চাষ করেছে তিনি বলেন, “ফলন ভালো হয়েছে। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে খরচ বাদ দিয়ে লাভের আশা করছি।” আংগার পাড়া গ্রামের আলতাফ হোসেন বলেন, “আমি ৪ বিঘা জমিতে উচ্ছে চাষ করেছি। পাইকাররা মাঠ থেকেই ২৫ থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে কিনে নিচ্ছে। আমার খরচ হয়েছে ৪ বিঘায় ১ লাখ টাকা। আমি ইতিমধ্যে প্রায় ২ লাখ টাকার উচ্ছে বিক্রি করেছি।
উপজেলা কৃষি অফিসার আশরাফ উজ্জামান জানান, মাঠ কর্মীরা উচ্ছে চাষে কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে আসছে। ঘিওর উপজেলার মধ্যে বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের প্রায় গ্রামই উচ্ছে চাষে অন্যতম। এ সবজি উৎপাদনে কৃষকেরা বেশ সাড়া জাগিয়েছে।