পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ‘কলমি শাক’

পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে ‘কলমি শাক’

বাহলুল করিম, সাতক্ষীরা থেকে

কলমি শাক। গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে কুড়িয়ে পাওয়া কলমি এক প্রকার অর্ধজলজ উষ্ণমন্ডলীয় লতা। এর বৈজ্ঞানিক নাম ‘Ipomoea aquatica’।

download (1)কলমি শাক প্রসঙ্গে মুক্তকোষ উইকিপিডিয়ায় বলা হয়েছে, সারাবিশ্বের ক্রান্তীয় ও উপ-ক্রান্তীয় অঞ্চলে জন্মে এটি। ইংরেজিতে কলমি শাককে বলা হয় Water Spinach, River Spinach, Water Morning Glory, Water Convolvulus, Chinese spinach, Swamp Cabbage এবং এশিয়ার কিছু অঞ্চলে Kangkong।

কলমি শাক পানিতে কিংবা ভেজা মাটিতে জন্মে। এর ডগাগুলো ২-৩ মিটার বা আরো বেশি দীর্ঘ হয়। ডগার গিট বা পর্ব থেকে শেকড় বের হয়। এটির ভেতর ফাঁপা বলে পানির উপরে ভেসে থাকতে পারে। এর ফুলের রঙ সাধারণত সাদা এবং গোড়ার দিক বেগুনী। ফুলে বীজ হয় এবং বীজ থেকেও গাছ লাগানো যায়।

এ প্রসঙ্গে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াকফ) বাংলাদেশের সহকারী মেডিকেল অফিসার হাকিম আব্দুর রহিম বলেন, “কলমি শাক শীতল ও আদ্র প্রকৃতির ভেষজ। যাদের মাথা গরম এবং যাদের মেজাজ রুক্ষ্ম কলমি লতা তাদের জন্য উপকারী। কলমি শাক রান্না করে খেলে তাদের মাথা ও মেজাজ ঠান্ডা হয়।”

download

সাতক্ষীরা শহরে পুষ্টির ফেরিওয়ালাখ্যাত রুহুল কুদ্দস রনি জানায়, নানা ধরনের ভেষজ উপাদান ও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ কলমি শাক। এই শাক রান্না করে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। এক চা-চামচ কলমি শাকের পাতার রস ও ছাগলের দুধ একসাথে মিলিয়ে নিয়মিত খেলে শ্বেত রোগ ভালো হয়। সন্তান প্রসবের পরে মায়ের বুকের দুধ কম হলে, বাচ্চা ঠিকমতো দুধ না পেলে কলমি শাক দুধ বাড়াতে সহায়তা করে। কলমি শাক পাকস্থলী ঠান্ডা ও পরিষ্কার রাখতে সহায়তা করে। লিভার ভালো রাখে ও দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এর ডগা ব্যাঙ, সাপ ও মাছের প্রিয় খাবার।

সাতক্ষীরা শহরের মিলবাজার এলাকার বাবর আলী বলেন, “নানা পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং প্রকৃতিতে প্রাপ্ত কলমি শাক সংরক্ষণ ও ব্যবহার করে নিরাপদ খাদ্যের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব।”

ছবি সংগৃহীত

happy wheels 2

Comments