সাথী ফসল চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের

রাজশাহী থেকে অমৃত সরকার
এক সাথে খেসারী-সরিষা ও ছোলা চাষ হয়েছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার দুবইল গ্রামের মোঃ আলাউদ্দিনের (৪৫) এক বিঘা জমিতে। আবার পাশের ১.৫ বিঘা জমিতে একসাথে সরিষা ও মসুর চাষ করেছেন একই গ্রামের মোঃ মুজাহারুল ইসলাম (৪৮)। জমির চারিদিকে সারি করে সরিষা বপন করা হয়েছে এবং মাছে বপন করা হয়েছে মসুর। এ বিষয়ে মোঃ মুজাহারুল ইসলাম বলেন, ‘এক সাথে এভাবে ফসল চাষ করা গেলে লাভ হয় বেশি। দেখা যায়, দুই ফসলেই পোকার আক্রমণ অনেক কম হয়। পাশপাশি এক সেচে দুই ফসল পাওয়া যায়।’

বরেন্দ্র অঞ্চলে ফসল চাষের ক্ষেত্রে পানি একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। তানোর উপজেলা এর ব্যতিক্রম নয়। এই উপজেলার বাঁধাইর ইউনিয়নকে সব থেকে পানি সংকটাপন্ন অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ অঞ্চলে বৃষ্টিনির্ভর আমন চাষ হওয়ার পর অধিকাংশ জমি পানির অভাবে ফাঁকা থেকে যায়। সেই প্রেক্ষিতে এবং বারসিক’র কাজের ফলে এ অঞ্চলের কৃষকরা রবিশস্য চাষে আগ্রহী হয়েছেন। কারণ রবিশস্য চাষে পানি অনেক কম প্রয়োজন হয়।

বাঁধাইর ইউনিয়নের জুমার পাড়া, তেলোপাড়া, মন্ডুমালা এলাকায় দেখা যাচ্ছে, কৃষকরা সাথী ফসল চাষে আগ্রহী হয়েছেন। এ অঞ্চলের জমিগুলোতে কেউ একসাথে চাষ করেছেন যব ও ছোলা বা সরিষার সাথে ছোলা। কোন কোন জমিতে আবার মসুর-ছোলা-যব এক সাথে চাষ করা হয়েছে। তেলোপাড়া গ্রামের এমন একজন কৃষক মোঃ মহিউদ্দিন (৪৬)। তিনি একসাথে যব-ছোলা-মসুর চাষ করেছেন। এ বিষয়ে মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, ‘এভাবে চাষ করে আমরা একই সেচের পানি ব্যবহার করে তিনটি ফসলের চাষ করতে পারছি। একদিকে খরচ কম হচ্ছে অপরদিকে মাটির নিচ থেকে পানি অনেক কম উত্তোলন করতে হচ্ছে।’


পরিবেশ উন্নয়নে কৃষকদের এ ধরনের কাজের উদাহরণ এ অঞ্চলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এ অঞ্চলের পানি সংকট দিন দিন অনেক বেশি প্রকট হচ্ছে।

happy wheels 2

Comments