অচাষকৃত শাক-লতাপাতা পুষ্টির আধার

আসাদুল ইসলাম, সাতক্ষীরা

সাতক্ষীরা সদর উপজেলার তুজলপুরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে বারসিকের পরিবেশ কর্মসূচির আওতায় ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজন কুড়িয়ে পাওয়া শাকের পাড়া মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বিকেলে মুজিব বর্ষ উপলক্ষে বারসিক’র সহযোগিতায় এবং তুজলপুর কৃষক ক্লাব ও গাছের পাঠশালা আয়োজনে এ মেলার আয়োজন করা হয়। মেলায় শতাধিক নারী গ্রামের বিভিন্ন জায়গা থেকে কচুর ডাটা, থানকুনি, কলমি, হেলাঞ্চা, সাঞ্চি, বেতশাক, কলার মুচা, ডুমুর, বউটুনি, কাটানুটি, ঘোড়া গাদো, ঘুমশাক, খুদ কলসি, পেপুল, বুনো ধনে পাতাসহ দেড় শতাধিক ভেষজ ও খাদ্যগুণ সম্পন্ন শাক-লতাপাতা প্রদর্শন করেন।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে জেলা লেডিস ক্লাবের সভানেত্রী ও জেলা প্রশাসক পত্নী লাভলী কামাল সর্বোচ্চ সংখ্যক শাক কুড়িয়ে আনা নারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তুজলপুর কৃষক ক্লাবের সভাপতি ইয়ারব হোসেনের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক এসএম মোস্তফা কামাল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক অরবিন্দ বিশ্বাস, এনডিসি স্বজল মোল্লা ও ঝাউডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান। আরও উপস্থিত ছিলেন তুজলপুর জিসি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কাশেম, মুক্তিযোদ্ধা ডা. আবুল হোসেন, বারসিক কর্মকর্তা গাজী আসাদ, ফজলুল হক, মাহিদা মিজান, কৃষক ক্লাবের সাধারন সম্পাদক গোলাম রহমান প্রমুখ।

পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক পত্নী লাভলী কামাল বলেন, ‘গ্রামের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শাক-লতাপাতা পুষ্টির আধার। এগুলো সংরক্ষণ ও ব্যবহারের মাধ্যমে পুষ্টির চাহিদা যেমন মেটানো সম্ভব, তেমনি রোগ বালাই থেকেও দূরে থাকা সম্ভব।

মেলায় কোন শাক লতা-পাতার কি গুণ, কোন অচাষকৃত কুড়িয়ে পাওয়া শাক-লতা পাতা খাওয়া যায়, কোনটি খাওয়া যায় না- তা জানতে এসেছিলেন গ্রামের আবাল-বৃদ্ধ-বণিতা সকলেই।

happy wheels 2

Comments