খাসি আদিবাসী এবং তাদের উৎপত্তি
সিলভানুস লামিন
ভূমিকা
বাংলাদেশে ৪৫টির অধিক আদিবাসীর মধ্যে খাসি অন্যতম। স্মরণাতীতকাল থেকে তারা বাংলাদেশের সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ এবং সিলেট জেলায় বসবাস করে আসছেন। খাসিরা সিলেট বিভাগের অধীনে তিনটি জেলার টিলা ও পাহাড়ে পান চাষ করেই জীবিকা নির্বাহ করেন। এছাড়া পানের পাশাপাশি তাঁরা সুপারি, লেবু, আনারস, কাঁঠাল আবাদ করেন। বাংলাদেশে খাসি জনসংখ্যা নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে। অনেকে দাবি করেন যে, বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৩০ হাজারের মতো খাসি জনগোষ্ঠী বসবাস করছেন। অন্যান্য সমতলের আদিবাসীদের মতো খাসিদের প্রধান সমস্যা হচ্ছে ভূমি। বংশপরম্পরায় ওই এলাকায় বসবাস করার পরও আজ তারা নিজ বসতভিটা ও ভূমি থেকে বিতাড়িত হচ্ছেন। প্রভাবশালীদের ভয়ভীতি, জোরপূর্বক দখল, প্রশাসনের অসহযোগিতা এবং খাসিদের অশিক্ষার সুযোগ নিয়ে এসব জোরপূর্বক জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে প্রতিনিয়ত।
সিলেট জেলার জৈন্তাপুর ও গোয়াইঘাট জেলার খাসিরা যে জমিতে বংশপরম্পরায় পান ও সুপারি আবাদ করছেন সেগুলো খাস জমি এবং তাদের বৈধ কাগজপত্রও রয়েছে। তবে ওই এলাকার পাথর উত্তোলন শুরুর পর থেকে সংগ্রাম পুঞ্জি, বড়লা পুঞ্জি এমনকি সম্প্রতি নকশিয়ার পুঞ্জির অনেক খাসি বাধ্য হয়ে নিজ জমি স্বল্পদামে বিক্রি করে অন্যত্র চলে গেছেন। আবার মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার খাসিরা পাহাড়ি খাস জমিতে পান ও লেবু আবাদ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। কিন্তু তারা নানাভাবে প্রভাবশালীদের এবং কখনও কখনও বনবিভাগের কর্মকর্তাদের কাছ থেকে হুমকি ও ভয়ভীতি পেয়ে আসছেন এবং ফলে ওই জমি ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন। অন্যদিকে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে উক্ত এলাকার খাসিরা ক্ষতিগ্রস্ততার শিকার হয়েছেন অনেক সময়। যার বড় উদাহরণ ২০০১ সালে মাবধকুন্ড ও মুরইছড়ায় ইকো পার্ক প্রকল্প নির্মাণের পরিকল্পনা।
প্রকৃতির সঙ্গে খাসিয়াদের একটি নিবিড় সম্পর্ক রয়েছে। ওই এলাকা অনাবাদী ও পরিত্যক্ত পাহাড়গুলোতে গাছ রোপণ ও লালন-পালনের মাধ্যমে খাসিদের পান চাষ প্রক্রিয়া শুরু হয়। অথচ এসব পাহাড়-টিলা আবাদযোগ্য করে তোলার পর তথাকথিত সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে কৌশলে ওইসব সম্পদ থেকে খাসিদের প্রবেশাধিকার বিপন্ন করা হয়, বাধাগস্ত করা হয়। খাসি গ্রামে গেলে যে দৃশ্যটা সর্বপ্রথমে চোখে পড়বে তা হলো সারি সারি গাছপালার গায়ে আপন মনে আকড়ে ধরে থাকা লতা জাতীয় পান এবং চারদিক ঘন ঝোপঝাড়। এছাড়া খাসিদের জীবনযাত্রা, জীবিকা অবলম্বন পদ্ধতি, প্রকৃতির সাথে নিবিড় যোগাযোগ, প্রকৃতি নির্ভর চাষাবাদ পদ্ধতিসহ আরও অনেক অনন্য দৃশ্য সহজেই চোখে পড়বে, যা যে কাউকে নিঃসন্দেহে বিমোহিত করে তুলবে।
গবেষক ও বিজ্ঞানীদের মতে, খাসি জনগোষ্ঠী বৃহত্তর অস্ট্রিক মানবগোষ্ঠীর অংশবিশেষ, যা অস্ট্রিক প্রটো-অস্ট্রেলয়েড বা ভেড্ডী নামেও পরিচিত। সিলেটের আদি বাসিন্দা বা প্রথম আবাস স্থাপনকারী মানবগোষ্ঠী হলো অস্ট্রিক মানবগোষ্ঠী। পরবতীর্তে এ অঞ্চলে মঙ্গলয়েড টিবোটো বর্মণ এবং আর্য সম্প্রদায়ের আগমন ঘটে। দৈহিক গঠন ও বৈশিষ্ট্যে মঙ্গলীয় ছাপ থাকলেও উৎপত্তি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে মঙ্গলীয় জনগোষ্ঠী হতে খাসিরা ভিন্ন। যেহেতু খাসিরা হচ্ছে বৃহত্তর অস্ট্রিক মানবগোষ্ঠীর অংশবিশেষ সেহেতু গবেষক বা বিজ্ঞানের এই ধারণা ও অনুমান সত্য হলে খাসিরা এই দেশের আদি বাসিন্দা; বহিরাগত নয়। সিলেট জেলার অর্ন্তগত জৈন্তাপুরে খাসি রাজাদের প্রাসাদের ধ্বংসাবশেষ এখনও রয়েছে; যা এ দেশে খাসিদের দীর্ঘদিনের বসবাসের স্মৃতিচিহ্ন বহন করে। খাসি আদিবাসীদের উৎপত্তি নিয়ে আলোচনার পূর্বে আদিবাসী করা সে সম্পর্কে সামান্য ধারণা দেওয়া প্রয়োজনবোধ করি।
আদিবাসী নিয়ে নানা মতপার্থক্য রয়েছে। ভারতবর্ষে আদিবাসী বিষয়ক নৃতাত্ত্বিক গবেষণা শুরু হওয়ার প্রথম পর্যায়ে তাদেরকে ‘ট্রাইব’ বলা হতো। উনবিংশ শতকের ইংরেজ নৃবিজ্ঞানীগণ নৃতাত্তি¡ক সমীক্ষা চালানোর সময় অনুন্নত ও জ্ঞাতিসম্পর্কীয় জনগোষ্ঠীকে চিহ্নিত করতে রোমান শব্দ ‘ট্রাইবুয়া’ (ট্রাইবুয়া> ট্রাইবাস্>ট্রাইব) থেকে ‘ট্রাইব’ শব্দটি ব্যবহার করেন। পরবর্তী পর্যায়ে এই গোষ্ঠীসমূহের মানুষকে অন্যান্য মানুষ থেকে আলাদা করে বোঝানোর জন্য নরগোষ্ঠী, নৃগোষ্ঠী, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, ক্ষুদ্র জাতিসত্তা, পাহাড়ি, জুন্মা, নিম্ন বর্গের মানুষ প্রভৃতি সমার্থক শব্দ বা নাম ব্যবহার করা হয়েছে।
ইস্যুটি নিয়ে আমরা আন্তর্জাতিক আইন, কনভেনশনের আশ্রয় নিতে পারি।
আন্তর্জাতিকভাবে প্রদত্ত ‘ Indigenous Peoples ’-এর সংজ্ঞা অনুসারে আদিবাসীরা হলো সেসব জনগোষ্ঠী যারা ঔপনিবেশিকতার শিকার, যাদেরকে সাংস্কৃতিক ও আর্থ-সামাজিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে স্বতন্ত্রভাবে চিহ্নিত করা যায়, যারা তাদের স্বকীয় নৃ-তাত্ত্বিক পরিচয় ধরে রাখার প্রচেষ্টা অনবরত চালিয়ে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার ১৯৮৯ সালের ১৬৯ নং কনভেনশনে উল্লেখিত সংজ্ঞাও প্রণিধানযোগ্য। এতে বলা হয়, ‘স্বাধীন রাষ্ট্রসমূহে সেসব জনগোষ্ঠী আদিবাসী হিসেবে বিবেচিত যারা বিজয় অভিযান বা উপনিবেশ বা বর্তমান রাষ্ট্রের ভৌগলিক সীমারেখা প্রতিষ্ঠাকালে দেশে বা দেশের কোন ভৌগলিক অঞ্চলে বসবাসরত, আইনগত ভিত্তি থাকুক বা না থাকুক, আংশিক বা পুরোপুরিভাবে যারা তাদের সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানসমূহ এখনও ধরে রেখেছে। এ সংজ্ঞা অনুসারে বলা যায় যে, কোন ভূ-খন্ডে কাদের পূর্ব পুরুষ প্রথম বসতিস্থাপন করেছিল সেটা মূখ্য বিষয় নয়, বরং যেসব জনগোষ্ঠী তথাকথিত সভ্যতার শিকার হয়ে স্বাধীন রাষ্ট্রে মূলস্রোতধারা থেকে বিচ্ছিন্ন হতে হতে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিকভাবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে রূপান্তরিত হয়েছে, যারা এখনও নিজস্ব কৃষ্টি-সংস্কৃতি ধরে রাখার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, যাদেরকে ‘উপজাতি’, ‘আদিম জনগোষ্ঠী’ ইত্যাদি নামে অভিহিত করা হয়, তারাই আদিবাসী। এ হিসেবে বাংলাদেশ যাদেরকে ‘উপজাতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয় তারা সকলেই আদিবাসী, যদিও বাংলাদেশের সরকার ‘আদিবাসী’ শব্দটি ব্যবহার না করে ‘নৃগোষ্ঠী’ শব্দটি বেছে নিয়েছে এই জনগোষ্ঠীকে বুঝানোর জন্য।
খাসিদের আদিনিবাস
বাংলাদেশে খাসিরা কবে থেকে তাদের বসতি গড়ে তুলেছে এ নিয়ে মত পার্থক্য রয়েছে। কারণ খাসিরা দাবি করে তারা স্মরণতীতকাল থেকে এদেশে বসবাস করে আসছেন। তারপরও বিভিন্ন গবেষক ও খাসি সম্পর্কে যেসব প্রকাশনা রয়েছে সেগুলো পর্যালোচনা করে যে তথ্য পাওয়া গেছে এখানে তা তুল ধরা হলো যদিও এটি অবশ্যই সর্বজনীনভাবে সত্য বলে গণ্য করা ঠিক হবে না।
খাসি জনগোষ্ঠীর গবেষক রুশ পতাম তাঁর ‘খাসিয়াদের ইতিহাস, সংস্কৃতি ও এতিহ্য’ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন-‘খাসিয়া সম্প্রদায় আদিকাল হতেই ভারতের আসাম, মেঘালয় ও বাংলাদেশের সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে বসবাস করত। প্রত্নতাত্তিক ও নৃতাত্তিকদের মতে, ভারতের পূর্বাঞ্চল, বাংলাদেশ, বার্মা, ইন্দোনেশিয়া ও ইন্দোচীন পুরোপলীয় ও নবোপলীয় যুগে একই ভাষা ও সংস্কৃতিক জনগোষ্ঠির আবাস স্থান ছিল। অনেকের মতে, খাসিয়ারা এ অঞ্চলের আদি সন্তান এবং তারা হয়তো নব্যপ্রস্তর যুগের জাতি যারা উত্তর ভারত, বার্মা, ইন্দোচীন ও দক্ষিণ চীন পর্যন্ত এ বিস্মৃত অঞ্চলে বসবাস করতো। বার্মা এবং ইন্দোচীনের বিভিন্ন জাতির সাথে খাসিয়া সম্প্রদায়ের ভাষা, সংস্কৃতি ও ব্যবহৃত জিনিসপত্রের সাদৃশ্য পাওয়া যায় এবং এটাই ইঙ্গিত দেয় যে সুপ্রাচীনকালে এসব জাতি বা স¤প্রদায় একই উৎস হতে উৎপত্তি লাভ করেছিল। তবে কখন এবং কিভাবে প্রথমে ভারতে জনবসতি গড়ে ওঠে এ ব্যাপারে কোনও নিশ্চিত প্রমাণপত্র পাওয়া যায়নি।’
রুশ পতাম আরও উল্লেখ করেন-‘ভারতের আদি মানব গোষ্ঠীর মধ্যে অষ্ট্রিক অন্যতম। আধুনিক অনেক গবেষক তাদেরকে ভারতের আদি সন্তান মনে করেন। ভারত উপমহাদেশের কোলভীল, গন্ড, সাওতাল, ভারত বাংলাদেশের খাসিয়া, ইন্দোচীনের ফিলিপিনেচ, মালাইয়া, কম্বোডিয়া ও বার্মার মনখুমের, সুদানীস, ইন্দোনেশীয়ান, জাভানীস এবং অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী মাওরী এ বৃহৎ অষ্ট্রিক মানবগোষ্ঠীর অন্তর্ভূক্ত। অষ্ট্রিক বা প্রটো অস্ট্রোলয়ড বা মুন্ডা মানবগোষ্ঠীর উৎপত্তি সম্পর্কে অনেক বিতর্কিত মতামত পাওয়া যায়। সুনীত কুমার চ্যাট্যার্জির মতে আদিযুগে এ মানবগোষ্ঠি পশ্চিম এশীয় এবং সম্ভবত ফিলিস্তিন অঞ্চল হতে উৎপত্তি লাভ করেছে। তারা ভূমধ্যসাগর অঞ্চলের মানবগোষ্ঠির একটি আদি বংশ। শরৎ চন্দ্র রায় মনে করেন যে অষ্ট্রিক ভাষাভাষি মানবগোষ্ঠী একই উৎস হতেই উৎপত্তি লাভ করেছে এবং তারাই ভারতের আদি বা প্রথম আবাস স্থাপনকারী গোষ্ঠী।’
ড. সুনীতি কুমারের মতে খাসিরা একদা কামরূপ ও সিলেটের সমভূমিতে বসবাস করতো। তার এ ধারণার সাথে খাসিদের লোক কাহিনীর মিল পাওয়া যায়। আসাম সমতল ভূমির বিভিন্ন জায়গায় নাম আজও খাসিদের স্মৃতি বহন করেছে। সম্ভবত খাসিরা আসাম ও সিলেট সমতল ভূমির বিভিন্ন জায়গায় প্রাচীনকাল থেকেই বসতি স্থাপন করেছিল। সম্ভবত খাসিরাই সিলেট ও ময়মনসিংহ অঞ্চলে প্রথম বসতি গড়ে তুলেছিল, এবং পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদীর মাধ্যমে তারা আসাম ও সিলেট অঞ্চলে চলাচল করতো। খাসি রাজ্যগুলো ব্রহ্মপুত্র থেকে বরাক নদী পর্যন্ত বিস্মৃত ছিল। খাসিরা প্রাচীনকালে সিলেটের হবিগঞ্জ, সুনামগঞ্জ ও জয়ন্তিয়াপুর এলাকায় প্রথম বসতি স্থাপন করেছিল। সিলেটের বিভিন্ন এলাকার নাম খাসি শব্দের ইঙ্গিত বহন করে। সিলেটকে খাসিরা ‘শীলত’ বলে ডাকত। তাছাড়া বানিয়াচং, লাখাই, কাসিয়া মারা, খোয়াই, লাউড়, ছাতক, সুটাং, বরাক ইত্যাদি জায়গার নাম খাসি বা অষ্ট্রিক প্রতিশব্দ থেকে উদ্ভূত।
উপরোক্ত বর্ণনা থেকে খাসিদের উৎপত্তি আদিনিবাস এবং ভারত বর্ষে কীভাবে তারা আগমন করলো সে সম্পর্কে কিছুটা হলেও সম্যক ধারণা লাভ করা গেছে। বিভিন্ন লেখক ও গবেষকদের মতে, সিলেটের আদি বাসিন্দা বা প্রথম আবাস স্থাপনকারী মানবগোষ্ঠী হলো অস্ট্রিক মানবগোষ্ঠী হলেও খাসিরা যেহেতু এ মানবগোষ্ঠীর অংশবিশেষ সেহেতু এটি বলা চলে যে, খাসিরা ভারতের আদিবাসী বাসিন্দা। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের পর কিছু কিছু খাসি এলাকা বিশেষ করে সিলেটের গোয়াইঘাট, জৈন্তাপুর, সুনামগঞ্জের কিছু এলাকা পশ্চিম পাকিস্তানে অর্ন্তভূক্ত হয় এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার এসব অঞ্চল বাংলাদেশের সাথে অর্ন্তভূক্ত হয়। কালক্রমে এসব এলাকার খাসিরা মৌলভীবাজার ও হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন পাহাড় ও টিলাভূমি জীবিকার তাগিদেই স্থানান্তরিত হয়। সিলেট বিভাগের এসব অনাবাদী ও পরিত্যক্ত পাহড়া ও টিলাভূমিতে গাছ রোপণের মাধ্যমে খাসিরা পান চাষ শুরু করেন। এভাবে ধীরে ধীরে এসব এলাকার বিভিন্ন পাহাড় ও টিলাতে খাসিদের বসবাস স¤প্রসারিত হয়। বর্তমানে জনসংখ্যার চাপের কারণে হোক কিংবা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ক্ষমতা চর্চার কারণে হোক বা পান আবাদ অপেক্ষাকৃত লাভবান হওয়ার কারণে খাসিদেরকে বহিরাগত বলে এসব অঞ্চল থেকে তাড়ানোর একটা অপতৎপরতা শুরু হয়েছে।