ঔল ও কাঁঠাল চাষ করে বাড়তি আয় করছেন নাজমা বেগম
রাজশাহী থেকে সুলতানা খাতুন
দর্শনপাড়া ইউনিয়নের দিঘীপাড়া গ্রামের নারী নাজমা বেগম। বয়স ৪২ বছর। স্বামী পেশায় একজন কৃষক। পরিবারের সদস্য সংখ্যা ৬ জন। সংসারের বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি হাঁস-মুরগি, গরু,ছাগল লালন পালন করেন। নাজনা বেগমের বাড়ির সামনে পতিত খালি জায়গা পড়ে থাকায় বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষের পাশাপাশি সেখানে ২৪ টি কাঁঠাল গাছ লাগিয়েছেন।পাশাপাশি তিনি দেশি জাতের ঔল চাষ করার উদ্যোগ নেন।
নাজমা বেগমকে নানাভাবে সহযোগিতা করেন বারসিক। বারসিক গ্রাম পর্যায়ে বিভিন্নভাবে নারীদের সচেতন ও উৎসাহিত করে থাকে। বিভিন্ন সভা, উঠান বৈঠক, বীজ বিনিময়ের মাধ্যম নারীদের বসতবাড়ির আঙ্গিনায় শাকসবজি চাষাবাদ ও বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিয়ে থাকে। তার পরিপ্রক্ষিতে নাজমা বেগম বাড়ির আঙ্গিনায় ঔল চাষ শুরু করেন। তাঁর ঔলের ফলন খুব ভালো হবে আশা করছে নাজমা বেগম।
নাজমা বেগম জানান, ঔল উঠানোর পরে বীজ সংরক্ষণ করে রাখবেন এবং আগামী বছর আরো বেশি করে ঔল চাষ করার পরিকল্পনা করছেন। এছাড়া তাঁর বাড়িতে অনেক ধরনের দেশীয় ফলজ গাছ রয়েছে। এসব গাছ থেকে তার পরিবারের ফলের চাহিদা পূরণ করে এবং উদ্বৃত্ত বাজারে বিক্রি করে বাড়তি আয় করনে। এভাবে বছরে ২৪টি কাঁঠাল গাছ ১০ হাজার টাকা মতো আয় করেন বলে তিনি জানান ।
নাজমা বেগম তাঁর উৎপাদিত ফসল ও ফল আত্মাীয়স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশির সাথে বিনিময় করেন। শাকসবজি, ঔল ও কাঁঠাল বিক্রি যে টাকা আয় করেন সেটি সংসারে বিভিন্ন কাজে লাগাতে পারেন বলে তিনি খুবই আনন্দিত বোধ করেন। তিনি জানান, পাড়া প্রতিবেশির সাথে ঔল ও কাঁঠাল বীজ বিনিময় করবেন যাতে গ্রামের অন্য নারীরাও তার মতো বাড়তি আয় করার সুযোগ লাভ করতে পারেন।