নেত্রকোণায় জেন্ডার সচেতনতা ও বিশ্লেষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত
নেত্রকোনা থেকে মো. অহিদুর রহমান
নারীর চলার অগ্রযাত্রার এই পথ শুধু নারীর একার নয়। নারী পুরুষের সমন্বিত চেষ্টা, চিন্তা, উদ্যোগ মিলেই নারী পুরুষের সমতার জায়গা তৈরি হবে। নারী অগ্রযাত্রার যেমন সফলতার গল্প আছে আছে তেমনিই বিফলতার গল্প। অনেকটা সময় পেরিয়ে গেছে। নারীর স্বার্থে অনেক নীতি, আইন, ব্যবস্থা চালু হয়েছে। নারী সমাজ দেশে দেশে তার অবস্থানের উন্নয়ন ঘটিয়েছে; কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক নারী আন্দোলনের প্রয়োজনীয়তা, এ দিবস পালনের তাৎপর্য এবং গুরুত্ব গভীরভাবে অনুভূত হচ্ছে। কেননা, প্রকৃত অর্থে নারীরা এখন পর্যন্ত বৈষম্য, বঞ্চনা, অধিকারহীনতার শিকার হয়ে দিন কাটাচ্ছে। যে দর্শন, যে দৃষ্টিভঙ্গি, পিতৃতান্ত্রিক মানসিকতা নারীকে একজন পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসাবে বিবেচনা করে না, মর্যাদা দেয় না, মানবাধিকারের স্বীকৃতি দেয় না, সেখানে এখন পর্যন্ত কোনো মৌলিক পরিবর্তন সাধিত হয়নি।
নারী ও পুরুষের সমতায় তৈরী হবে ন্যায্য সমাজ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দুদিন ব্যাপী জেন্ডার সচেতনতা ও বিশ্লেষণ বিষয়ক প্রশিক্ষণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বারসিক নেত্রকোণা অঞ্চলের রামেশ্বরপুর রিসোর্স সেন্টারে। নেত্রকোণা অঞ্চলের আটপাড়া,কলমাকান্দা, নেত্রকোণা সদর, মদন উপজেলার কর্মরত সকল স্টাফ উক্ত প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। প্রশিক্ষণে প্রশিক্ষকের দায়িত্বপালন করেন বারসিক’র কৃষি প্রতিবেশ ও খাদ্যনিরাপত্তা সেলের পরিচালক সৈয়দ আলী বিশ্বাস। প্রশিক্ষণের শুরুতেই দেশত্ববোধক গান দিয়ে শুরু করা হয়। প্রথমেই নেত্রকোণা অঞ্চলের আঞ্চরিক সমন্বয়কারী মো. অহিদুর রহমানের শুভেচ্ছা বক্তব্য প্রদান করেন।
দুদিনের প্রশিক্ষণে আলোচনা,পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপন, গ্রুপওয়ার্ক, নিজ নিজ উপস্থাপনা গত বছরের কাজের আলোচনা, মূল্যায়নের মধ্য দিয়ে পরিচালনা করা হয়।
আলোচনার বিষয় জেন্ডার, সেক্স, অবস্থা, অবস্থান, সমতা, সাম্য, নারীদের মানবাধিকার, বাংলাদেশের নারী নীতিমালা, সিডও সনদ, জেন্ডার লেন্স, জেন্ডার ভূমিকা, বৈষম্য, জেন্ডার মুলধারায় অর্ন্তভূক্তিকরণ, জেন্ডার বিশ্লেষণ, বৈষম্যের কারণসহ আগামি দিনের আমাদের গ্রাম সংগঠন, প্রতিষ্ঠানে ও কাজে নারী পুরুষের সমতা নিয়ে কি কাজ করতে পারি এসব বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলা বলা হয়।