কোন প্রজাতি হারিয়ে গেলে আর ফিরে পাবোনা
পার্থ প্রতিম সরকার, সমন্বয়ক নেত্রকোণা সম্মিলিত যুব সমাজ
দিন দিন কমছে প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, হারিয়ে যাচ্ছে জলাভূমি, নদী, হাওর, ফল, ফুল, পাখি, লতাপাতা, বন্যপ্রাণ্,ি ধান, বীজ, মাছ, মানুষের পেশা, ভাষা, সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক খাদ্যসহ প্রকৃতির নানা অনুষঙ্গ। প্রকৃতি থেকে আমরা দূরে সরে যাচ্ছি। যতই দূরে সরে যাচ্ছি ততই আমরা বিপন্ন হয়ে পড়ছি, সংকটে পড়ছি।
বারসিক নেত্রকোণা অঞ্চলের আয়োজনে বারসিক নেত্রকোণা রিসোর্স সেন্টার আটপাড়া রামেশ্বরপুরে দিনব্যাপী বৈচিত্র্যতাই সুন্দর ”বৈচিত্র্যতাই উন্নয়ন, এই শ্লোগানে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল, “প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য সুরক্ষায় যুবদের ভূমিকা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালা। কলামাকান্দা, নেত্রকোনা সদর, মদন, আটপাড়া উপজেলার অক্সিজেন যুবসংগঠন, ফুলপাখি কিশোরী সংগঠন, রক্তের বন্ধন যুবসংগঠন, অগ্রযাত্রা কিশোরী সংগঠন, ধান-শালিক-নদী হাওর যুবসংগঠন, শিকড় যুব সংগঠন, দিয়ারা যুবসংগঠন, প্রত্যাশা কিশোরী সংগঠন, উদয় যুব সংগঠন, উচিতপুর সমাজকল্যানযুব সংগঠন, কলমাকান্দা সম্মিলিত যুবসমাজ, কাইলাটি যুব সংগঠনসহ ২১টি সংগঠনের ৩০ জন যুব এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহন করেন।
কর্মশালাটি উদ্বোধন করেন নেত্রকোনা জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস। যুবদের আগ্রহের ভিত্তিতে তিনি প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য বিষয়ে একটি সেশনও পরিচালনা করেন। প্রশিক্ষণে মূল প্রশিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সহযোগি আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শংকর ¤্রং এবং তাঁকে সহযোগিতা করেন রনি খান ও পার্থ প্রতিম সরকার।
প্রথমেই বারসিক নেত্রকোনা অঞ্চলের আঞ্চলিক সমন্বয়কারী প্রশিক্ষণের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। নেত্রকোণা সম্মিলিত যুবসমাজের সদস্য অনাবিলা সরকারের সঞ্চালনায় সংগঠনে যুবরা নিজ নিজ সংগঠনের কার্যক্রম তুলে ধরে পরিচয় প্রদান করেন। প্রশিক্ষণ কর্মশালায় জনসংগঠনের ভূমিকা, সংগঠন, সংগঠনের কাজ, কার্যকরী সংগঠন, বৈচিত্র্য, প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, বিলুপ্তি ও সুরক্ষা, যুবদের করণীয়, নেত্রকোণার আঙ্গিকে সাংস্কৃতিক ও প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের বর্তমান অবস্থা।
প্রশিক্ষণ কর্মশালাটি উদ্বোধন করে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস (শিক্ষা ও আইসিটি) বলেন, “আমাদের জীবনের জন্য, টিকে থাকার জন্য প্রাকৃতিক ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষা করা জরুরি। একটি প্রজাতি হারিয়ে গেলে নতুন করে আর ফিরে পাওয়া যাবেনা। আমরা বিলুপ্ত করতে পারি কিন্তু নতুন করে ফিরিয়ে আনতে পারবোনা। প্রত্যেকেই যার যার অবস্থান থেকে সুন্দর চিন্তা চেতনার মাধ্যমে নিজে সুস্থ থেকে সুস্থ মন নিয়ে একটি ন্যায্য সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যেতে হবে। যুবদের উপর অনেক দায়িত্ব রয়েছে আগামী সুন্দর পৃথিবীর জন্য যুবদেরকে সবুজ মনের চিন্তা নিয়ে পরিশ্রম করে যেতে হবে।”
সবশেষে ও আগামি দিনের একটি সুন্দর পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপ্তি হয়।