রাজশাহীতে পালিত হলো দেশের প্রথম বিশ্ব মৌ পতঙ্গ দিবস
রাজশাহী থেকে মো: আতিকুর রহমান আতিক
খাদ্য উৎপাদন ও পরাগায়নের মাধ্যমে খাদ্য শৃঙ্খলে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী মৌ পতঙ্গ প্রজাতি রক্ষায় এবং রাসায়নিক ও কীটনাশকের ভয়াবহতা থেকে আগামী প্রজন্মকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশের মধ্যে রাজশাহীতে প্রথমবারের মত পালিত হলো বিশ্ব মৌ পতঙ্গ দিবস।
এ দিবসটিকে কেন্দ্র মৌ পতঙ্গ সুরক্ষায় রাজশাহীর তরুণ-যুব এবং নাগরিক সমাজের অংশগ্রহণে বরেন্দ্র অঞ্চলের তরুণ সংগঠনের বৃহৎ ঐক্য বরেন্দ্র ইযুথ ফোরাম ও বারসিক গতকাল সোমবার রাজশাহী মহানগরীর একটি রেস্তোরায় আয়োজন করেছে। সেমিনার পরবতীতে তারা নগরীর জয়বাংলা চত্বরে মৌ পতঙ্গ সুরক্ষায় সংহতি বন্ধন করেন।
সেমিনারে মূখ্য আলোচক হিসেবে মৌ পতঙ্গ নিয়ে সচেতনতামূলক দিকনিদের্শনা পেশ করেন নর্থ বেঙ্গল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস। বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান আতিকের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন, বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চলের সমন্বয়কারী গবেষক শহিদুল ইসলাম। এতে বরেন্দ্র অঞ্চলের বিভিন্ন তরুণ-যুব সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন। মূখ্য আলোচক প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র দাস বলেন, ‘খাদ্য উৎপাদন, আমাদের পরিবেশ স্থিতিশীল রাখায় বিশ্বের মধ্যে মৌ পতঙ্গ বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আমাদের পরিবেশ বিনাশী কার্যক্রমের কারণে বিশ্বের মধ্যে মৌ পতঙ্গ বিলুপ্ত হতে চলেছে।’
তিনি তথ্য উপস্থাপন করে বলেন, ‘পরাগায়নকারী প্রাণীদের মোট প্রজাতির সংখ্যা আনুমানিক ৩ লক্ষ ২৯ হাজার ৩৬৮ বলে গবেষণা সূত্রে জানা গেছে। এর মধ্যে ২০ হাজার প্রজাতির মৌ পতঙ্গ। বিশ্বের ৭৫ শতাংশ শস্যের পরাগায়ণ হয় প্রাণিদের দ্বারা, যার মধ্যে মৌ পতঙ্গ অন্যতম। বিষাক্ত রাসায়নিক ও কীটনাশকের ব্যবহারের কারণসহ জলবায়ু পরিবর্তনে মৌ পতঙ্গ দিনে দিনে আরো বিলুপ্তির পথে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালে ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ “২০ মে” তারিখটি বিশ্ব মৌ পতঙ্গ দিবস হিসেব পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং ২০১৮ সাল থেকে এটি পালিত হয়। তবে বাংলাদেশে এ পর্যন্ত এই গুরুত্বপূর্ণ দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হয়নি, যা বাংলাদেশে এ প্রথম রাজশাহীতে আনুষ্ঠানিকভাবে পালিত হলো।