নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধিতে সবাইকে সচেতন হতে হবে
সাতক্ষীরা থেকে মননজয় মন্ডল
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং এক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে করণীয় শীর্ষক সংলাপ ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল (১২) জুন সোমবার বিকালে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে শ্যামনগর উপজেলা পাবলিক লাইব্রেরিতে উক্ত সংলাপ ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করে বারসিক।
নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানো এবং এক্ষেত্রে সমস্যা সমাধানে করণীয় শীর্ষক সংলাপ ও মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি হিসেবে শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান বলেন, “নবায়নযোগ্য শক্তি ব্যবহারে আমাদের সকলকে সচেতন করতে হবে, প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবহারসহ নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বৃদ্ধিতে সকল পর্যায়ের ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে।” তিনি বলেন, “ইডকলকে নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহারে আরো বেশি দাযিত্বশীল ও যত্নবান হতে হবে। গ্রীন ব্যাংকিং এর সুবিধাসমূহ গ্রামীণ জনপদের মানুষের দোড়গোড়ায় পৌছে দিতে হবে।”
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা বলেন, “আমাদের উপজেলা থেকে প্রতিবছর নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাজেট ব্যয় করি। প্রতিবছর সোলার ও পরিবেশবান্ধব চুলা সহযোগিতা করি।” তিনি ধূমঘাট গ্রামকে ধোঁয়ামুক্ত রান্নাঘর ঘোষণার সাথে একাত্মবোধ ঘোষণা করেন এবং কাজকে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন।
বারসিক কর্মকর্তা গাজী আল ইমরানের সঞ্চালনায় উক্ত সংলাপ ও মতবিনিময় সভায় বারসিক’র এলাকা সমন্বয়কারী পার্থ সারথী পাল ধারণাপত্র পাঠ করেন। উক্ত মতবিনিময় সভায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা, উপজেলা ইডকল প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান, ফাষ্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যংকের শাখা ব্যবস্থাপক রাশিদুল ইসলাম, অগ্রণী ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক আব্দুল হাকিম, বিদ্যুৎ অফিসের প্রতিনিধি মাহবুব আলম, গ্রামীণ শক্তি’র শাখা প্রধান অর্জুন কুমার পাল প্রমুখ।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন ব্যংক কর্মকর্তাবৃন্দ, সোলার কোম্পানির প্রতিনিধি, ইডকল প্রতিনিধি, সোলার ব্যবহারকারী, সাংবাদিক রণজিৎ কুমার বর্মণ, জনসংগঠনের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক কুমুদ রঞ্জন গায়েন, সুন্দরবন স্টুডেন্টস সলিডারিটি টিমের সদস্যবৃন্দ ও বারসিক কর্মকর্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্তাবৃন্দ প্রমুখ। উক্ত সংলাপ ও মতবিমিয় সভার সভাপতিত্ব করেন বারসিক’র এলাকা সমন্বয়কারী পার্থ সারথী পাল।