মাঠজুড়ে ধান শুকানোর আনন্দ-উল্লাস
সাতক্ষীরা থেকে মীর খায়রুল আলম
বৈশাখী ঝড়-বৃষ্টি আর বজ্রপাত ঘটার কারণে আকাশে প্রায় এক মাসের মতো খুব একটা রৌদ্রের দেখা যায়নি। যে কারণে তাড়াহুড়া করে ধান কাটা ও মাড়াই করেছে কৃষকেরা। মুসলমানদের ২য় স্তম্ভ পবিত্র রমজান চলছে। আর এই রমজানকে সামনে রেখে রৌদ্র ও মেঘাচ্ছন্ন আবহাওয়াতেও চলছে ধান শুকানোর কাজ।
এপ্রিল মাসের শুরুতেই ছিল ঝড়-বৃষ্টি। জমিতে পাকা ফসল থাকলেও ধান কাটার জন্য দেখা দিয়েছে শ্রমিক সংকট। অনেক কষ্ট স্বীকার করে জমি থেকে কাটা ধান খলায় নিয়ে আসা হয়। সেই ধান মারাই করা হয় কিন্তু তেমন রৌদ্র না থাকায় সিদ্ধ করা ধান শুকাতে ২-৩ দিন সময় লাগছে।
নতুন ফসল ঘরে ওঠায় কিছুটা আনন্দে ছিল ভালো ফসল হওয়ায় কৃষকেরা। বৈশাখ মাস শেষ, জ্যৈষ্ঠ মাস শুরু। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ও মাঝে মাঝে ঝড় বৃষ্টির ফাকে হঠাৎ প্রখর রৌদ্র ওঠায় উৎসব হিসাবে ধান শুকানোর কাজে এখন ব্যস্ত সময় পার করছে কৃষক ও তার পরিবারের সদস্যরা।
দেবহাটার বেশির ভাগ বিদ্যালয়ের খেলার মাঠে চলছে কাক ফাটা রৌধে কষ্টের ফলানো বোরো ধান শুকানোর কাজ। এই কাজে এখন যুক্ত হয়েছে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছেলে, মেয়েসহ পরিবারের সদস্যরা।
কোড়া গ্রামের আব্দুল খালেক বলেন, “মাঠ থেকে ধান কেটে আনতে পারলেও বৈরী আবহাওয়ার ভিতর দিয়ে ধান মাড়াই করা হয়েছে। ঝড় বৃষ্টির ফাকেও মাঝে মধ্যে প্রখর রৌদ্র ওঠায় ধান শুকানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছি।”
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার ইব্রাহিম খলিল জানান, এবার ৬০৬০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ হয়েছে। কৃষকগণ এবার পাকা বোরো ধান নিয়ে মাঝারি বৃষ্টিপাতের কারণে কষ্টের মধ্যেই ছিল। জমি থেকে ধান কেটে খলায় এনে রেখেছে কিন্তু রৌধ না থাকায় ভালোভাবে শুকাতে পারছেন না। এখন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও মাঝে মধ্যে প্রখর রৌদ্র উঠার কারণে ধান শুকানোতে ব্যস্ত কৃষকগণ। এমন রৌদ থাকলে কয়েক দিনের মধ্যে সব ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ শেষ হবে। কষ্টের ফলানো বোরো ধান শুকানোর আনন্দ-উল্লাস দেবহাটাবাসির ঘরে ঘরে। ঝড় বৃষ্টির ফাকে হঠাৎ প্রখর রৌদ্র ওঠায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটছে। এ যেন মহান আল্লাহর নিয়ামত।