গ্রাম ও শহরের তরুণদের বৈষম্য আরো বেড়েছে
বরেন্দ্র অঞ্চল থেকে শহিদুল ইসলাম:
আজ ১২ আগষ্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২০ উপলক্ষ্যে বরেন্দ্র অঞ্চল যুব সংগঠন ফোরাম ও উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান বারসিকের আয়োজনে অনলাইন মাধ্যমে আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২০ উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে যুবকদের আলোচনা ও মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময়ে বরেন্দ্র অঞ্চলের ২৭ টি যুব সংগঠনের ৩৫ জন যুব প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।এবারের যুব দিবস ২০২০ এর মূল প্রতিপাদ্য বিষয় “বৈশ্বিক কর্মে যুব শক্তি”। উক্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে বরেন্দ্র অঞ্চলের তরুণরা তাঁদের আঞ্চলিক সমস্যা ও সম্ভাবনার দিকগুলো তুলে ধরেন। তরুণরা বলেন,করোনা মহামারীসহ বিভিন্ন দুর্যোগে এবং জাতীয় সংকটকালিন সময়ে তরুণ-যুবকরাই অগ্রহামী, তাঁরাই বেশী এগিয়ে আসে সংকট সমাধানে। কিন্তু তরুণদের চাহিদানুযায়ী কোন কিছুই বাস্তবায়ন করা হয়না। এমন কি তরুণদের স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর জন্য কোন সুযোগ সুবিধা দেয়না সরকারের পক্ষ থেকে।যা করা হয়েছে তা সাধারণ যুব সংগঠনগুলোর পক্ষে গ্রহণ করাও দুরুহ জটিল কিছু নিয়মের কারনে।রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ-যুব সংগঠন নবজাগরণ ফাইন্ডেশনের সভাপতি খালিদ হোসেন বলেন-“ করোনার কারনে গ্রাম ও শহরের তরুণদের মধ্যে বৈষম্য আরো ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
করোনার সময়ে সবকিছু অনলাইন কেন্দ্রিক হওয়ায় শহরকেন্দ্রীক তরুণরা ইন্টানেটের সুবিধা পাওয়ায় তারা এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ একজন গ্রামের তরুণ ইন্টারনেট বা একটি ভালো মোবাইলের অভাবে পিছিয়ে যাচ্ছে বর্তমান পৃথিবীর বিভিন্ন কার্যক্রম থেকে। এ ছাড়াও গ্রামের অনেক তরুণ যুবক তাদের কর্মসংস্থান হারিয়ে বেকার হয়েছে। যাদের বেশীরভারেগ নিজস্ব কোন জমি বা তহবিল নেই। এসব তরুণদেরকে বিনা জামানতে অর্থ এবং কারিগরি সহায়তার কথা বলেন তরুণ প্রতিনধিরা।
সূর্যকিরণ বাংলাদেশ এর সভাপতি শাইখ তাছনিম জামাল বলেন-“ তরুণদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে তাদের বিনাজামানতে এবং রাজনৈতিক বিচার না করে দক্ষতার উপর বিচার করে ঝনের ব্যবস্থা করতে হবে।”
মতবিনিময়ে সভ্প্রাধান হিসেবে ছিলেন- বরেন্দ্র অঞ্চল যুব সংগঠন ফোরামের আহবায়ক রুবেল হোসেন মিন্টু। মতবিনিময়টি সঞ্চালনা করেন বারসিক বরেন্দ্র অঞ্চল সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম।
উল্লেখ্য যে, তারুণ্যের বিকাশ ও উন্নয়নে ১৯৯৮ সালে পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘের “ওয়ার্ল্ড কনফারেন্স অব মিনিস্টার রেসপনসিবল ফর ইয়ুথ” ১২ আগষ্টকে আন্তজার্তিক যুব দিবস হিসেবে প্রস্তাব করে। পরের বছর ১৯৯৯ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে দিনটিকে “ আন্তর্জাতিক যুব দিবস” হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। প্রতিবছরের ন্যায় সারা বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও পালিত এই দিবস পালন হয়ে আসছে।