মাটি সুস্থ থাকলে বাঁচবে সকলের প্রাণ
সত্যরঞ্জন সাহা হরিরামপুর, মানিকগঞ্জ
‘মাটি আমাদের মা, মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা আমাদেরই দায়িত্ব। মাটি সুস্থ থাকলে বাঁচবে সকলের জীবন, থাকব ভালো সবাই। তাই মাটির কন্যা আর নয়, মাটির স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সবার উদ্যোগ দেখতে চাই। জৈব কৃষি চর্চা করে মাটি ও প্রকৃতিকে ভালো রাখি। মাটি- প্রাণ প্রকৃতির সকলের খাদ্যের যোগান দেয়। সুস্থ মাটিতে বৈচিত্র্য ভরে উঠে। প্রাণ প্রকৃতি থাকে সতেজ ও সবল। উপরোক্ত বক্তব্যটি দিয়েছেন বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেছেন। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন হরিরামপুরের দাসকান্দি গ্রামের কৃষাণি রুনা আক্তার।
উক্ত আলোচনা সভায় অংশগ্রহন করেন কৃষাণি নাজমা বেগম, পাটগ্রাম অনার্থ বন্ধু সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী স্বপ্না রাহা, কৃষক আব্দুস ছালাম, বারসিক প্রোগ্রাম অফিসার সত্যরঞ্জন সাহা ও মুকতার হোসেন।
আলোচনায় বক্তারা আরও বলেন, ‘আমরা গ্রামের মানুষ আমাদের মাটিই সব কিছু। জীব সংগ্রামে, জীবন বাঁচাতে প্রতিদিন মাটিকে ব্যবহার করে থাকি। আমরা মাটি ছাড়া কিছুই ভাবতে পারিনা। মাটিতে বীজ বপন করলে আবার না করেও আমরা খাদ্য পাই। খাদ্য উৎপাদন করতে আমরা পরিবেশসম্মত উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারি। কিন্তু বেশি উৎপাদনের আশায় অতিমাত্রায় সার বিষ মাটি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। উৎপাদন কমে আসছে। আবাদে রাসায়নিকের মাত্রা বেড়ে যাচ্ছে।’ তারা বলেন, ‘আমাদের সকলের মাটির স্বাস্থ্যের কথা ভাবতে হবে। জৈব কৃষি চর্চা করতে হবে। আমাদের মাটি পানি বাতাসকে ভালো রেখে কাজ করলে আমারা সকলে ভালো থাকতে পারব। আমাদের প্রাণ প্রকৃতি ভালো থাকবে। আমাদের উদ্ভিদ ও প্রাণ বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাবে।’ আলোচনা শেষে কৃষকদের জৈব কৃষি উদ্যোগ তথ্য পর্যবেক্ষণ করেন।
আলোচনায় তথ্য আদান প্রদান করে কৃষক ও কৃষাণিগণ মাটি দিয়ে কি ধরনের কাজ করেন তা তুলে ধরেন। মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিজেদের উদ্যোগ তুলে ধরেন। জৈব কৃষি চর্চায় তথ্য আদান প্রদান করে পরিবেশসম্মত উদ্যোগ সম্প্রসারণে সহায়ক হবে।