তীব্র তাপ্রবাহে তৃষ্ণা মেটাবে পাখি ওপথের কুকুর

প্রেসবিজ্ঞপ্তি (রাজশাহী)

‘একসময় চারিদিকে ছিলো পুকুর আর প্রাকৃতিক জলাধার, অনেক বড় বড় গাছ ছিলো এই শহরজুড়ে। শীত কিংবা গরমে এমনকি তীব্র তাপদাহের সময় এসকল বৃক্ষ লতাপাতায় প্রাণ জুড়াতো মানুষসহ অন্যান্য প্রাণী ও পাখিরা। প্রাকৃতিক জলাধার পুকুড় দীঘিগুলোতে তৃষ্ণা মেটাতো পাখি ও শহর বন্যপ্রাণীগুলো। কিন্তু এগুলো কমে যাবার কারণে তীব্র তাপপ্রবাহের সময় রাজশাহী শহরে এসকল প্রাণের সমস্যা বেশি বেড়ে গেছে। আমরা চাই এসকল আর যেনো ধ্বংস না করা হয়।’

উপরোক্ত কথাগুলো বলছিলেন রাজশাহী স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠন জিরো পয়েন্ট সিক্স জিআর জেড এর সভাপতি জুবায়ের হোসেন।

আজ (২ মে, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায়) রাজশাহী বড়কুঠি পদ্মা পার্কে ‘তীব্র তাপদাহে তৃষ্ণা মেটাবে পাখি ও পথের কুকুর’ এই শিরোনামে রাজশাহী স্বেচ্ছাসেবী যুব সংগঠনেগুলোর আয়োজনে পথের কুকুর এবং পাখির জন্য পানির ব্যবস্থা করা হয় । পথের পাশে মাটির ডোগাতে পানি এবং গাছে ডোগা বেধে তাতে ঠান্ডা পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন যুবরা।

এতে অংশ নেয় রাজশাহী বিভাগের বৃহৎ যুব ঐক্য বরেন্দ্র ইয়ুথ ফোরামের যুব সদস্যগণ। একই সাথে তারা প্লেকার্ড ফেস্টুন নিয়ে জলবায়ু পরিবর্তনে ধনী দেশগুলোর প্রতি দায়িত্বশীল আচরণ করার কথা বলেন। তারা রাজশাহী শহরের প্রাকৃতিক জলাধারগুলোর সুরক্ষা, পুকুর খনন বন্ধসহ এই নগরীর আর একটি বৃক্ষ কর্তন যাতে না হয় সেই দাবি তুলে ধরেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বারসিকের গবেষক ও আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শহিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘আমাদের চারিপাশটা যতোই বৃক্ষ শুন্য এবং প্রাকৃতিক জলাধাগুলো নষ্ট করে ফেলছি ততোই আমরা সবাই ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘শুধু মানুষ নয়, এখানে বন্য প্রাণী এবং পাখিগুলোর সংকট আরো বেশি দেখা দিয়েছে। এভাবে প্রকৃতির ভারসাম্য নষ্ট হলে আমরা আরো ক্ষীতর শিকার হবো। এররকম দুর্যোগের, তীব্র তাপপ্রবাহে এই প্রাকৃতিক সম্পদগুলোই আমাদের সুরক্ষা দিয়ে থাকে।’  

happy wheels 2

Comments