গ্রামীণ লোকায়ত পিঠা উৎসব
মানিকগঞ্জ থেকে রাশেদা আক্তার
“বৈচিত্র্য সুরক্ষা ও আন্তঃনির্ভরশীলতাই হোক বহুত্ববাদী সমাজ” শ্লোগানকে সামনে রেখে দিয়ারা নারী উন্নয়ন সংগঠনের আয়োজনে এবং বারসিক এর সহযোগিতায় জাগীর ইউনিয়নের দিয়ারা ভবানীপুর গ্রামে গ্রামীণ লোকায়ত পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। গ্রামীণ নারী লোকায়ত চর্চার মধ্য দিয়ে বৈচিত্র্য ও আন্তঃনির্ভরশীলতার সম্পর্ককে টিকিয়ে রাখার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
দিয়ারা নারী উন্নয়ন সংগঠনের সভাপতি নুরুন্নাহার বেগমের সভাপতিত্বে বেলা ১১.০০ টায় পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ জন নারী তাদের তৈরিকৃত মোট ৫৪ রকমের পিঠা স্টলে প্রদর্শন করেন। এসব পিঠার মধ্যে রয়েছে-চিতই, দুধ চিতই, বিস্কুট, সয়, ডিমফুল, মোরগ সংশা, পুরী, নারকেল পাতা, কাচি, জিঞ্জা, পেটিস, পাতিল, ফুলপিঠা, ভাপা পিঠা, বীন, বড়া, তেল, পাটিশাপটা, শিরিঞ্জ, সমুচা পিঠা, তিলপুলি, গোলাপ, শামুক, তুরী পিঠা, নাড়–, দুধ পুলি, দুধ খঞ্চি, সিদ্ধপুলি, দৈলা পিঠা, সেমাই পিঠা, চুকই পিঠা, তাল পিঠা, ডিম পিঠা, নারিকেল পাকন, মাংস পাকন, মালপোয়া, বরফি পিঠা, নারিকেল ভাপা, মুঠি পিঠা, ছিটরুটি, চিরুনী পিঠা, চাঁদ পিঠা, কটকটি পিঠা, পাতা পিঠা, জলপাই পিঠা, ক্ষীর পুলি, সুজি পিঠা, চশি, নিমকী পিঠা, লাভ পিঠা, বড়ই পাতা পিঠা, সূর্যমূখী পিঠা, পদ্মফুল, ঘাসফুল পিঠা ইত্যাদি। সর্বোচ্চ ৩০ রকম পিঠা বানিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন শিল্পী বেগম, ২য় রুমানা আক্তার-২৯ রকম, ৩য় নুরুন্নাহার ২৫ রকম।
পিঠা উৎসবের শুরুতেই গ্রামীণ নারীর লোকায়ত জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, বৈচিত্র্য ও আন্তঃনির্ভরশীলতা বিষয়ে আলোচনা করেন বারসিক এর প্রোগ্রাম অফিসার রাশেদা আক্তার। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, সহযোগি প্রোগ্রাম অফিসার কমল চন্দ্র দত্ত, দিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক খালেদা আক্তার ও ঊষা সন্ন্যাসী, দিয়ারা নারী উন্নয়ন সংগঠনের সদস্য শিল্পী বেগম, রাজেদা বেগম, পারভীন বেগম, দিয়ারা গ্রামের সমাজকর্মী মো. লুৎফর রহমান।
অনুষ্ঠান শেষে সকল প্রতিযোগিদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক শিশু, কিশোর, কিশোরী, নারী, পুরুষ এবং প্রবীণ অংশগ্রহণ করেন।