শ্যামনগরের কুলতলি খাল এখন জাল যার জলা তার
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থেকে গাজী আল ইমরান
সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার মুন্সিগঞ্জ ইউনিয়নের কুলতলি খালটি আজ (বৃহস্পতিবার) বেলা ১২ টায় উন্মুক্ত করেন শ্যামনগর সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাহিদ হাসান। এসময় তিনি প্রায় ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ খালটি উন্মুক্ত করে খালটিতে পুনরায় নেট পাটা না দিতে সবাইকে আহবান জানান।
কুলতলি খালটি স্থানীয় একজন জনপ্রতিনিধি এক লাখ পচিশ হাজার টাকায় স্থানীয় একজনকে লিজ দেওয়ায় এলাকার মানুষ খালের প্রাকৃতিক উৎস আহরণ থেকে বঞ্চিত হন। স্থানীয় জনগণ এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সিডিও ইয়ুথ টিমের সদস্যরা খালটি উন্মুক্ত করতে উলজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট আবেদন জানালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সরজমিনে তদন্ত পূর্বক সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন।
এসময় ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা তদন্ত করে সরকারি জায়গা দখল পূর্বক পানি চলাচলে বিঘ্ন ঘটাচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর তদন্ত প্রেরণ করেন। এসময়কালে স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং সিডিও ইয়ুথ টিমের সদস্যরা বেসরকারি সংস্থা সিএনআরএস এবং বারসিক’র সহযোগিতায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে খালটি উন্মুক্ত করার জন্য জেলা প্রশাসনের কাছে জোর আবেদন জানান।
সংশ্লিষ্ট সহকারী ভূমি কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন পাঠালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনস্বার্থে খালটি উন্মুক্ত করার জন্য সহকারী কমিশনার ভূমিকে নির্দেশ প্রদান করেন। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শ্যামনগর সরজমিনে গিয়ে খালটি উন্মুক্তের মাধ্যমে জাল যার জলা তার নিশ্চিত করেন।
এসময় শত শত এলাকাবাসী জড় হয়ে উপজেলা প্রশাসন, সিএনআরএস, বারসিক, সিডিও ইয়ুথ টিমকে ধন্যবাদ জানান। খালটি উন্মুক্তের পরে জনমুখে আনন্দের ছাপ ফুটে ওঠে। খাল উন্মুক্তের পরে এলাকার নারী ও পুরুষদের জাল নিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায়।
এসময় তারা বলেন, ‘আমরা আবারো এই প্রাকৃতিক জলাশয় থেকে উন্মুক্তভাবে মাছ ধরতে পারবো। এছাড়া মিষ্টি পানির আধার হিসেবে ব্যবহার করতে পারব ‘। অভিযান চলাকালীন সময়ে সরকারি কাজে বাধা প্রদান করায় একজনকে ৭ দিনের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন সহকারী কমিশনার( ভূমি)। অভিযান চলাকালীন সময়ে পুলিশ বাহিনীর সদস্য,সুশীল সমাজ, সাংবাদিকসহ এলাকার শত শত নারী পুরুষ উপস্থিত ছিলেন।