সাম্প্রতিক পোস্ট

গাছগুলো বড় হলে গ্রামের পরিবেশ সুন্দর হবে, পাখির আবাসস্থল হবে

নেত্রকোনা থেকে মো. নূরুল হক
ময়মনসিংহ জেলার তারাকান্দা উপজেলার কামারিয়া ইউনিয়নের সাধুপাড়া জন উন্নয়ন কেন্দ্রের উদ্যোগে পাখির বৈচিত্র্য রক্ষা এবং গ্রামটিকে জাম গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে গতকাল ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়ক থেকে সংযোগ সড়ক সাধুপাড়া-নগুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত মাটির রাস্তার দু’পাশে ৫১টি জাম ও নিমের চারা রোপণ করা হয়েছে। চারা রোপণ অনুষ্ঠানে সাধুপাড়া কৃষক সংগঠন ও সাধুপাড়া সোনার বাংলা যুব সংগঠনের সদস্যরা, স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি (মেম্বার) মো. ফজল হক, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা আব্দুল গণিসহ এলাকার প্রবীণ ব্যক্তিরা অংশগ্রহণ করেন।


জাম ও নিম গাছ রোপণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সোনার বাংলা যুব সংগঠনের সভাপতি মাইন উদ্দিন বলেন, ‘আমরা বারসিক’র সাথে যুক্ত হয়ে সংগঠন গড়ে তোলার পর থেকেই এলাকার কৃষি, পরিবেশ ও প্রাণবৈচিত্র্যের উন্নয়নে প্রতিবছর বিভিন্ন ধরণের কার্যক্রম করে আসছি। আমরা কৃষক সংগঠনের সাথে গ্রামের রাস্তা মেরামত, এলাকা উপযোগি ধানের জাত নির্বাচনে গবেষণা পরিচালনাসহ বিভিন্ন ধরণের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করেছি। আমরা এতে অনেক লাভবানও হয়েছি এবং হচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রতিবছর গ্রামে, পরিবারে এবং বিভিন্ন জায়গায় বৈচিত্র্যময় গাছের চারা রোপণ করে থাকি। আমাদের সাধুপাড়া ও নগুয়া গ্রামের প্রায় পরিবারেই জামের গাছ দেখা যায়। তাই আমরা কৃষক সংগঠন ও যুব সংগঠন মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি গ্রাম দু’টিকে আমরা জাম গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলব। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ ২৬ আগস্ট আমরা ৪৯টি জাম ও ২টি নিমের চারা রাস্তার দু’পাশে রোপণ করেছি। গ্রামের শিশু, কিশোর-কিশোরী, যুব, কৃষক ও প্রবীণ সকলে গাছের চারাগুলো রক্ষণাবেক্ষণ করবো। আমরা গ্রামের পুরো রাস্তাটিই জাম ও নিম গাছ রোপণ করে ভরে দিব। গাছগুলো বড় হলে গ্রামের পরিবেশ যেমন সুন্দর হবে, তেমনি গ্রামের জনগোষ্ঠীর জন্য জাম ফল সহজলভ্য হবে।’


তিনি জানান, জাম ও নিম ফল পাখির খুবই প্রিয়, তাই গাছগুলো বড় হলে এলাকায় পাখির খাদ্যের সংস্থান হবে এবং পাখি বৈচিত্র্য বৃদ্ধি পাবে। তাঁরা গ্রামের সকলকে নিজ নিজ বসতভিটায় জাম ও নিমের চারা রোপণে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। এগুলো যেমন পুষ্টির যোগান দিবে তেমনি ঔষধি হিসেবেও অনেক উপকারে আসবে বলে তিনি জানান।


সাধুপাড়া কৃষক সংগঠন ও সোনার বাংলা যুব সংগঠনের সকল সদস্যই এ উদ্যোগের সাথে যুক্ত হয়েছেন। দু’টি সংগঠনের যৌথ প্রচেষ্টায় গ্রাম দু’টি জাম গ্রাম হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে বলে অংশগ্রহণকারীরা আশা প্রকাশ করেন। জাম গ্রাম গড়ে উঠলে এলাকায় ফলের চাহিদা পূরণ হবে, জাম বিক্রি করেও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যাবে। পাশাপাশি এলাকার পাখি বৈচিত্র্যও বৃদ্ধি পাবে এবং পরিবেশের উন্নয়ন হবে।

happy wheels 2

Comments