প্রান্তিক মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
রাজশাহী থেকে তহুরা খাতুন লিলি
‘প্রতি ইঞ্চি মাটি, গড়বো সোনার ঘাঁটি’ এই প্রতিপাদ্যকে বাস্তবায়ন করা গেলে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব। দেশের অভ্যান্তরে অনেক অচাষকৃত পতিত জমি রয়েছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সেই অচাষকৃত জমিকে উৎপাদনমূখী কৃষি জমিতে রূপান্তরিত করা প্রয়োজন।
বরেন্দ্র অঞ্চলের অন্যতম সবুজ নগরী রাজশাহীর মধ্যে রয়েছে এমন অনেক ভূমি। যে ভূমিগুলোকে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য কাজ করছে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা। রাজশাহীর সীমানা এলাকার মধ্যে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অনেক ছোট বড় বস্তি। প্রায় বস্তিগুলো গড়ে উঠেছে সরকরি অচাষকৃত পতিত জমির উপরে। অধিকাংশ বস্তিবাসী সেই ভূমিগুলোর সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করে সেটাকে উৎপাদনমূখী করে তুলতে জানেন না। অনেকেই জানেনা যে কিভাবে সবজি চাষ করে নিজেদের সামান্য জায়গা ব্যবহার করে পুষ্টি চাহিদা পূরণের পাশাপাশি আর্থিক ভাবেও লাভবান হতে পারবে।
অন্যদিকে অনেকেই বীজ বা চারা লাগালেও ফলন না হওয়ার কারণ খুজে পাননা, তাই সঠিক পদক্ষেপও গ্রহণ করতে পারেনা। এসব উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে সম্প্রতি বারসিক’র আয়োজনে ভদ্রার রুপালি বস্তিতে নগর প্রান্তিক মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টি চাহিদা পূরণে আলোচনা ও বীজ বিনিময় করা হয়। নগর প্রান্তিক মানুষ কিভাবে নিজেদের সামান্য জায়গা ব্যবহার করে নিজেদের পুষ্টি চাহিদা পূরণে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাদ্য তৈরী করতে পারবে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়াও বীজ বপনের সময়কাল, মাটির উর্বরতা, জৈব সার ও চাষাবাদ নিয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হয় এবং বীজ বিনিময় করা হয়। আলেচনা করেন বারসিকের কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর কৃষিবিদ তহুরা খাতুন লিলি।