নারায়ণ হাজং এর কেঁচো কম্পোস্ট উৎপাদন
কলমাকান্দা নেত্রকোনা থেকেঅর্জুন হাজং
নেত্রকোণা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার লেঙ্গুরা ইউনিয়নের একজন উদ্যোগী কৃষক নারায়ণ হাজং। তাঁর বয়স ৬০ বছর। ২ ছেলে স্বামী, স্ত্রী ও নাতী নাতনী নিয়ে তার সংসার। তিনি বাড়ির আশপাশে সারাবছর মৌসুমভিত্তিক জৈব উপায়ে শাকসব্জি চাষ করেন। যেসব শাকসব্জি পরিবারের চাহিদা পূরণ করার পর বাজারেও বিক্রি করেন তিনি।
পূর্বে শুধু গোবর দিয়ে তিনি এসব শাকসব্জি উৎপাদন করতেন। কিন্তু বর্তমানে তিনি কেঁচো কম্পোস্ট দিয়ে সারাবছর শাকসব্জি চাষ করছেন। জৈব কৃষি চর্চার জন্য কেঁচো কম্পোস্ট তৈরির বিষয়ে বারসিক’র নিকট একটি আবেদন করেন। তাঁর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর দুটি ৪ফুট/৪ফুট হাউজ তৈরির করার জন্য বারসিক তাকে উপকরণ সহযোগিতা প্রদান করে। এরপর থেকে পুরোদমে কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি করতে শুরু করেন।
নারায়ণ হাজং জৈব কৃষির জন্য কেঁচো কম্পোস্ট তৈরি করে নিজেরা ব্যবহার করছেন। নিজের ব্যবহারের পর যেটুকু অবশিষ্ট থাকে তা তিনি বিক্রি করেন। তিনি ৪০০ টাকা মণ ধরে ২ মণ কেচো কম্পোষ্ট বিক্রি করেন প্রথমবার। আবার দ্বিতীয়বার প্রতি মণ বিক্রি করেন ৫০০ টাকা দরে মণ ১৫০০ টাকায়। এভাবে তিনি প্রতি দুইমাস অন্তর অন্তর ২-৩ মণ করে কেচো কম্পোস্ট বিক্রি করেন। এভাবে তিনি এখন প্রায় সময়ই কেচো কম্পোস্ট বিক্রি করেন। কেচো কম্পোষ্ট এর চাহিদা বেশি ছিল কিন্তু চাহিদার অনুপাতে উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। এমনকি একবার ১,০০০ টাকায় কেঁচোও বিক্রি করেছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে।
কেঁচো কম্পোস্ট উৎপাদন করার অভিজ্ঞতা থেকে নারায়ণ হাজং বলেন, ‘আমি আগে শাকসব্জি ও ধান চাষের জন্য গোবর ব্যবহার করতাম কিন্তু তেমন ফলন পেতাম না এখন কেঁচো কম্পোস্ট উৎপাদন করে নিজে ব্যবহার করছি। আর ফলনও ভালো পাচ্ছি। নিজে উৎপাদন করছি আবার পাড়াপ্রতিবেশীদেরকেও উৎসাহিত করছি।’ তিনি আরও বলেন, ‘কেঁচো কম্পোস্ট বিক্রি করে বাড়তি আয়ও করতে পারছি, যা আমার সংসাওে অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা আনতে ভূমিকা রেখেছে।’