বিশ্ব পানি দিবসে নুরানী গঙ্গা নদী খননের দাবি
সিংগাইর মানিকগঞ্জ থেকে শাহীনুর রহমান
নুরানী গঙ্গা নদী দূষণ, দখলবন্ধ ও খননের দাবিতে মানব বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে সম্প্রতি। “শান্তির জন্য পানি ” এই প্রতিপাদ্যের আলোকে বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা সংস্থা বারসিক’র সহযোগিতায় বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের চরমগড়া কৃষক কৃষাণি সংগঠন নুরানী গঙ্গা নদী পাড়ে এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।
সংগঠনের সহ সভাপতি রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বলধারা ইউনিয়নের সংরক্ষিত নারী ইউপি সদস্য হোসনেআরা, উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আশিকুর রহমান, কৃষক শফিউদ্দিন, সদস্য নাসিমা আক্তার, শাহনাজ বেগম, জোহুরা বেগম, লিমা আক্তার, বারসিক কর্মকর্তা শিমুল বিশ^াস প্রমুখ। এছাড়াও সংঠনের প্রায় ৫০ জন কৃষক কৃষাণি মানবন্ধনে অংশগ্রহণ করেন।
মানববন্ধনে হোসনেআরা বলেন, ‘নূরানী গঙ্গা নদীটি একটি ঐতিহাসিক নদী। এই নদীটি আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। ১৯৭১ সালে ঐতিহাসিক গোলাইডাঙ্গা যুদ্ধে এই নদীতে ৮১ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়। আমি এই নদী খননের মাধ্যমে স্বাধীনতা যুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য জোর দাবি জানাই।’ উপ সহকারি কৃষি কর্মকর্তা বাবুল চন্দ্র বলেন, ‘পানি ব্যবহারে আমাদের সচেতন হতে হবে। পানি আমাদের জীবনের উৎস। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে মিঠা পানির অঞ্চলও লবণাক্ততা দেখা দিচ্ছে। আমাদের অঞ্চলে যেন লবণাক্ততা তৈরি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
অন্যদিকে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নুরানী গঙ্গা নদীটি আগে সচল ছিল। কৃষি ও সেচ কাজে এই নদীর পানিই ব্যবহার হতো। কিন্তুু এখন বর্ষা ছাড়া নদীতে পানি থাকে না। নদী ভরাট হয়ে যাওয়ায় কৃষিজমিতে পানি আসে না। বাধ্য হয়েই আমাদের মাটির নিচের পানি ব্যবহার করতে হয়। নদীটি খনন করে পানির প্রবাহ নিশ্চিত হলে মাটির নিচের পানির উপর চাপ কমে আসবে। তাই নদীটি খনন করার খুব জরুরি বলে আমরা মনে করি।
বারসিক কর্মকর্তা শিমুল বিশ^াস প্রমুখ বলেন, ‘ভূগর্ভস্থ পানি অধিক উত্তোলনের কারনে প্রাকৃতিক পানি সম্পদের উপর চাপ বাড়ছে। আমাদের অতিমাত্রায় ভু-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার এর উপর চাপ কমাতে হবে। পানির সুষ্ঠু ব্যবহারে আমাদের জন সচেতনতা বৃদ্ধি করার পাশাপাশি পানির প্রাকৃতিক উৎস সংরক্ষণে উদ্যোগী হতে হবে।