আমরা একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল

ঘিওর থেকে সুবীর কুমার সরকার ও শ্যাময়েল হাসদা,
বারসিক’র উদ্যোগে সম্প্রতি বানিয়াজুরী ইউনিয়ন পরিষদের হলরুমে ‘বৈচিত্র্য, আন্তঃনির্ভরশীলতা ও বহুত্ববাদী সমাজ’ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। কর্মশালায় বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, বানিয়াজুরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোকতার জ্জামান বাবু, সৈয়দ আল আজাদ, শিক্ষক আমিত কুমার সাহা, রোজিনা আক্তার, দূর্গা রাজবংশী, সুবীর কুমার সরকার ও শ্যামায়েল হাসদা, যুব সংগঠনের মিজানুর রহমান হৃদয় ও আকাশ প্রমূখ অংশগ্রহণ করেন।


আলোচনাসভায় সভাপতিত্ব করেন এ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ। আলোচনায় শিক্ষক আমিত কুমার সাহা বলেন, ‘আমাদের চারপাশে সকল পেশার মানুষ সাথে বসবাস। আমরা একে অপরের প্রতি নির্ভরশীল। একজনকে বাদ দিলে আমরা চলতে পারবো না। সকল পেশার মানুষদের মর্যদা ও সম্মান দেওয়া উচিত। স্কুল পর্যায়ে এমন প্রশিক্ষণ কর্মশালা করতে পারলে অনেক ভালো হবে।’


কৃষক মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বর্তমানে আমাদের নদী দিন দিন ভরাট হয়ে যাছে, শুষ্ক মৌসুমে পানি থাকে না। নদীর পানি কীটনাশক ও রাসায়নিক সার ব্যবহারের কারণে বিষাক্ত করে ফেলেছি। ফলে আমরাও বিষাক্ত হচ্ছি নানা মরণব্যাধি রোগে। এগুলো থেকে বাঁচতে হলে কীটনাশক ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। জৈব সার ব্যবহার করতে হবে।’
নাগরিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ আল আজাদ বলেন, ‘একমাত্র মানুষ অন্যের নির্ভর ছাড়া চলতে পারি না। আমরা প্রকৃতির উপর নির্ভর করেই বেঁচে থাকি। কিন্তু নিজের প্রয়োজনে স্বার্থে অন্যের ক্ষতি করি প্রকৃতিকে বিষাক্ত করি, দূষণ করি। আমাদের ঠিকে থাকতে হলে প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা করতে হবে।,


এ্যাভোকেট দীপক কুমার ঘোষ বলেন, ‘আমরা যদি চিন্তা করি! আমাদের নদী নাই, নারী নাই, খালি খা খা মরুভূমি? চিন্তা করতেই কেমন লাগে। আমাদের নদী, আমাদের প্রাণ প্রকৃতি আমাদের রক্ষা করতে হবে। এই প্রশিক্ষণে আমরা যা শিখলাম তা অন্যে মাঝে ছড়িয়ে বা বাস্তবায়ন করতে পারলেই আমাদের প্রশিক্ষণ সার্থক।’
এর আগে প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুরুতেই আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায় বৈচিত্র্য, আন্তঃনির্ভরশীলতা ও বহুত্ববাদী সমাজ বিষয়ে ধারণা দেন। তিনি চারপাশের প্রাণ-প্রকৃতি, মাটি, পানি, নদী, বিভিন্ন পেশা মানুষের কথা বলেন এবং এসমস্ত আমাদের দিনে দিনে যুগে যুগে হারিয়ে যাচ্ছে, বিলুপ্ত হচ্ছে।

happy wheels 2

Comments