ক্ষুদ্র উদ্যোগ, কিন্তু অসাধারণ

:: শেখ তানজির আহমেদ, সাতক্ষীরা ::

যে কোন ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্যোগ সমন্বিত হয়ে বৃহৎ আকার ধারণ করে। আর যুবকরা যদি কোন উদ্যোগ গ্রহণ করে এবং তা যদি হয় কল্যাণকর তাহলেই সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব। এই তো বেশি দিন আগের কথা নয়, গত আগস্ট মাসে সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের ছয় শিক্ষার্থী একত্র হয়ে নিজেদের প্রাইভেট পড়ানো টাকা থেকে চাঁদা তুলে উদ্যোগ নিয়েছিল দরিদ্র শিশু শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর। আগস্ট মাসে তারা সাতক্ষীরা শহরের সিলভার জুবলী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ৩০ শিশু শিক্ষার্থীকে তিনটি করে খাতা ও কলম উপহার দেয়। পরিচয় হিসেবে শিশু শিক্ষার্থীদের তারা বলে আমরা তোমাদের ‘বড় বন্ধু’।

সেপ্টেম্বর মাসেও ৩০ শিশু শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় এই উপহার। পত্রপত্রিকায় এই খবর পড়ে ‘বড় বন্ধু’ খ্যাত এই কলেজ শিক্ষার্থীদের উদ্যোগকে উৎসাহ জানাতে এগিয়ে এসেছেন একজন চিকিৎসক। একইভাবে এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন আরো তিনজন। এবার উপহার হিসেবে খাতা-কলম দেওয়া হয়েছে ৬৩ জন শিশু শিক্ষার্থীকে। খাতা-কলম পেয়ে বেজায় খুশি তারা। সেই একই প্রত্যয় তাদের, ‘খাতা ভরে লিখব’। একই সাথে ছোট্ট বন্ধুদের হাতে উপহার তুলে দিতে পেরে উচ্ছ্বসিত ‘বড় বন্ধু’ খ্যাত সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী শামছুন্নাহার মুন্নী, বাহলুল করিম, মফিজুল ইসলাম, নাইম চৌধুরী, এসএম নাহিদ হাসান ও অসীম রায়। আর প্রথমবারের মতো এই উদ্যোগে সম্পৃক্ত হয়েছেন ডা. সুব্রত ঘোষ। পরবর্তী কার্যক্রমে সম্পৃক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শিক্ষক দেবাসীষ বসু শেখর, বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী শাহীন ইসলামসহ আরো একজন।

এই উদ্যোগ নিয়ে কথা হয় শামছুন্নাহার মুন্নীর সাথে। তিনি বলেন, আমরা সম্পূর্ণ নিজেদের খরচে ছোট্ট ছোট্ট বন্ধুদের উপহার হিসেবে খাতা-কলম দেই। খাতা-কলম পেয়ে তারাও খুশি হয়, আমরাও আনন্দ পাই, আর কিছু নয়।”

আর এই উদ্যোগে নতুন সম্পৃক্ত ডা. সুব্রত ঘোষ জানান, পত্রিকায় পড়ে তাদের উদ্যোগ ভালো লেগেছে। ক্ষুদ্র উদ্যোগ, কিন্তু অসাধারণ।

happy wheels 2

Comments