অতিথি পাখির বিচরণে মুখরিত জাবির ক্যাম্পাস
মোঃ মতিউর রহমান, সাভার
প্রতিবছরের ন্যায় এবছরেও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে অতিথি পাখিরা। অন্যদেশ থেকে এদের আগমন হয় বলে এদের অতিথি পাখি বলে অভিহিত করা হয়। শীতের শুরুতে এদের আগমণ ঘটে এবং থাকবে শীতের পুরোটা সময় ধরে। অতিথি পাখিরর আগমন এবং তাদের ছুটে বেড়ানো দেখতে প্রতিদিনই বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরা।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ নিরিবিলি ও কোলাহলমুক্ত হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে এখানকার লেকগুলোকে বেছে নেয় অতিথি পাখিরা। বিশ্ববিদ্যালয়টির জাহানারা ইমাম হল, প্রীতিলতা হল, রেজিস্ট্রার ভবন, ওয়াইল্ড লাইফ রেসকিউ সেন্টার ও সুইমিং পুল সংলগ্ন লেকগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে সরালি বা হাঁস প্রজাতির এই পাখিগুলো। এই পাখিগুলো পানিতে থাকতে পছন্দ করে এবং পানির মধ্যে থাকা বিভিন্ন গুল্ম উদ্ভিদ ও পোকামাকড় খুঁজে খায়। শীতের পুরোটা সময়ে ক্যাম্পাসের লেকে পরিযায়ী, কালিহাস, লেঞ্চা, জলপিপি, সরালি, বড় সরালি, ছোট সরালি, পাতারি, পাতিহাস, বুটিহাসসহ প্রায় ২০৫ প্রজাতির পাখির দেখে মেলে বলে বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়। যার মধ্যে ১২৬ প্রজাতির দেশীয় পাখি রয়েছে বলেও জানা যায়।
হিমালয়ের উত্তরের সুদূর সাইবেরিয়া, চীন, মঙ্গোলিয়া ও নেপালে এসময়ে প্রচুর তুষারপাত হয়। এই তুষার পাতে পাখিরা নিজেদের মানিয়ে নিতে না পেরে বাংলাদেশের মত নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে চলে আসে। শীত বাড়ার সাথে সাথে পাখিদের সংখ্যাও বাড়তে থাকে পাল্লা দিয়ে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লেকগুলোতে ১৯৮৬ সালে প্রথম অতিথি পাখি আসতে শুরু করে বলে বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রাণীবিদ্যা বিভাগের তথ্যসূত্রে জানা যায়।
বিশ্ববিদ্যালয়টির লেকজুড়ে এখন শুধু অতিথি পাখির বিচরণ। এসব অতিথি পাখিদের বিচরণে মুখরিত জাবি ক্যাম্পাস। হাজার মাইল পথ পাড়ি দিয়ে আসা এসব পাখিদের বিরক্ত না করতে অনুরোধ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ।