আউশ্যা জাতের মরিচের চাষ বেড়েছে বরেন্দ্র এলাকায়
চাঁপাইনবাবগন্জ থেকে রন্জু আকন্দ
উচু বরেন্দ্র এলাকা নাচোল থানা কসবা ইউনিয়ন খড়িবোনা গ্রামে গত ২০২১ সালে দেশের বিভিন্ন জেলায় মোট ১৮টি জাতের কালো মরিচ বীজ সংগ্রহ করা হয়। খড়িবোনা কৃষক ঐক্যের সহযোগিতায় কৃষক আজিজ এর জমিতে এসব মরিচ পরীক্ষামূলকভাবে চাষ করা হয়। তবে জলবায়ুজনিত নানান দুর্যোগের কারণে ১৮টি জাতের মরিচের ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে কৃষকরা এতে ক্ষান্ত হননি। তারা জলবায়ুর এই সমস্যাকে বিবেচেনা করেই বারোমাসী আউশ্যা জাত মরিচ চাষ করেন। এতে তারা আশানুরূপ ফলন পান।
এই মরিচ চাষে সফলতা আসায় এসব মরিচের বীজ সংরক্ষণ করে তারা আবারো গবেষণা করেন সোহাগপুষ্টি বাড়িতে। গত বছরও কৃষকরা আশানুরূপ ফলন পান। এভাবে এই জাতের মরিচের চাষ সম্প্রসারিত হতে শুরু করে। জাতটির বীজ সংগ্রহ করে সোহাগপুষ্টিবাড়িতে ট্রেতে করে ৫০০ চারা উৎপাদন করা হয়। এসব চারা এলাকার ৫টি গ্রাম তথা খড়িবোনা, জোরপুকুর, আঝইর, আনোখা ও বেলপুকুর গ্রামের ২০০ পরিবারের মাঝে বিনিময় করা হয়। ৫টি গ্রামের পরিবার এই মরিচ চাষ করে ভালো ফলন লাভ করেন। এভাবে বীজ সংরক্ষণ করে সোহাগ পুষ্টিবাড়তে ১ হাজার চারা উৎপাদন করা হয়। এবার এলাকার ২২টি গ্রামের ৪০০ পরিবারে মাঝে বিনিময় করা হয়।
বর্তমানে ওই ২২টি গ্রামে এ মরিচ চাষ হচ্ছে। কৃষকের তথ্যমতে, এবার আশানুরূপ ফলন হবে। এই প্রসঙ্গে কৃষিব্যাংকের ম্যানেজার (সোনাই চন্ডি শাখা) জিয়াউর রহমান বলেন, আমি অনেকদিন থেকে বিভিন্ন হাট বাজার থেকে কয়েক জাতের মরিচ চারা সংগ্রহ করে আমার ছাদে রোপণ করি। কিন্তু ফলন পাওয়ার আগেই বিভিন্ন রোগবালাই এসে আক্রমণ করে নষ্ট হয়ে যায়। গত মার্চ মাসে সোহাগ পুষ্টিবাড়ি থেকে ৫টি আউশ্যা জাত মরিচ চারা সংগ্রহ করে ছাদে রোপণ করি। বর্তমানে আশানুরূপ ফলন পাচ্ছি।’ আঝইর গ্রামের ফাহিমা জানান, ৪টি গাছের মরিচ দিয়ে আমার সংসারের চাহিদা পূরণ হয় এবং প্রতিবেশিদেরও দেই।’ খড়িবোনা গ্রামের প্রধান শিক্ষক ইউসুফ জানান, ‘আমি সোহাগ পুষ্টিবাড়ি থেকে ২০টি চারা সংগ্রহ করি ২০২২ সালে। আমার পুষ্টিবাড়িতে রোপণ করি। ভালো ফলন পেয়েছি। আমি প্রতিবেশি আত্মীয়স্বজনসহ প্রায় ৫০ পরিবারে মাঝে বীজ বিনিময় করি। তারা রোপণ করে ভালো ফল পাচ্ছেন বলে জানান।’