জৈব পদ্ধতিতে কৃষিচর্চা করে সফল সলিতা চিসিম
কলমাকান্দা, নেত্রকোনা থেকে আলপনা নাফাক
কলমাকান্দা উপজেলার খারনৈ ইউনিয়নের নয়াপাড়া গ্রামে বাস করেন সলিতা চিসিম। স্বামী মিন্টু রেমা দুজন মিলে কৃষি কাজ করেন। তাদের সংসারে আছে ২ ছেলে ২ মেয়ে। ছেলে মেয়েকে দ্রারিদ্রতার কারণে তেমন লেখাপড়া করাতে পারেননি।
২০১২ সালে বারসিক’র কাছ থেকে জৈব পদ্ধতিতে শাকসব্জ্ৎউৎপাদনের উপর প্রশিক্ষণ ও কিছু উপকরণ সহযোগিতা পান। এই প্রশিক্ষণে শেখা কৌশল বাস্তবে কাজে লাগিয়ে তিনি জৈব সার তৈরী ও তা ব্যবহার করেন শাকসব্জি উৎপাদনে। জৈব সার ব্যবহার করায় তাঁর সবজি ভালো উৎপাদন হয় এবং অন্যের কাছে এ সবজির চাহিদা রয়েছে। এখনও তিনি জৈব পদ্ধতিতে চাষাস করেন।
উৎপাদিত শাকসব্জি তিনি নিজেই বাজারে নিয়ে বিক্রি করেন। জৈব পদ্ধতি চাষ করেন বলে বাজারে তার শাকসব্জি চাহিদাও বেশি। শাকসব্জি নিয়ে বাজারে বসে থাকতে হয় না। বাজারে নেওয়া মাত্র বিক্রি হয়ে যায়। অনেক সময় বাড়ি থেকেই তার শাকসব্জি বিক্রি হয়ে যায়।
তার মতে, জৈব পদ্ধতিতে শাকসব্জি চাষ করায় সহজেই সিদ্ধ হয়ে যায়। বিক্রি ছাড়াও নিজের পরিবারের চাহিদা পূরণ করে অত্মীয় স্বজনদেরকেও দিয়ে দেন। শাকসব্জি বিক্রির টাকা তার সংসারের অনেক ক্ষেত্রে ব্যবহার করে থাকেন। তিনি সবসময় জৈব সার ও জৈব বালাইনাশক ব্যবহার করেন। কোনদিন রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করেন না। শুধু নিজে না অন্যকেও জৈব সার ব্যবহারের জন্য উদ্বুদ্ধ করেন।
পাশপাশি রাসায়নিক সারের ক্ষতিকর দিকগুলো নিয়েও অন্যের সাথে আলোচনা করেন সলিতা। জৈব পদ্ধতি আবাদ করে তিনি কীভাবে ধীরে ধীরে পরিবারে স্বাবলম্বী হচ্ছেন এবং বাজারে এসব সবজি বিক্রি করার অভিজ্ঞতাগুলো অন্য নারী ও কৃষাণীর সাথে সহভাগিতা করেন। সলিতার বাড়ির আঙ্গিনায় বারোমাসি মরিচ, বারোমাসি সাদা বেগুণ রোপণ করে নিজেও ব্যবহার করছেন এবং মাঝে মধ্যে বাজারেও বিক্রি করেন।
সলিতা চিসিমের এই সাফল্য এলাকার অন্যান্য কৃষাণীকেও জৈব পদ্ধতিতে সবজি উৎপাদনে উৎসাহিত করছে।