সাতক্ষীরায় প্রকৃতি ও পুষ্টির গল্পের আসর অনুষ্ঠিত
গাজী মাহিদা মিজান, সাতক্ষীরা থেকে
আমাদের পুষ্টি চাহিদা মেটাতে অচাষকৃত শাকসবজির কোন বিকল্প নেই। কিন্তু আমরা অনেকেই এই সকল শাক-সবজি খাই না। আমরা নিয়মিত কীটনাশক দেওয়া শাকসবজি খেয়ে নিজেদের ক্ষতি নিজেরাই ডেকে আনছি। এ সকল কীটনাশক দেওয়া শাকসবজি কিনতে আমাদের অনেক টাকাও নষ্ট হয়। অথচ আমাদের বাড়ির আশেপাশে অনেক অচাষকৃত শাকসবজি পাওয়া যায়। যা খেলে আমাদের অনেক উপকারও হবে, আবার পুষ্টির চাহিদাও পূরণ হবে। যেমন কলার মোচায় প্রচুর আয়রন থাকে। থানকুনি আমাশয় প্রতিষেধক আর কচু শাক চোখের জন্য ভালো। তেলাকচু ডায়াবেটিসের মহৌষধ। পেপুল সর্দি-কাশি ও এলার্জি দূর করে। এছাড়াও রয়েছে অত্যন্ত পুষ্টি গুণ সমৃদ্ধ কলমি, কুলফি, কলার থোড়, কাঁটানটি, বউটুনিসহ নানা প্রজাতির অচাষকৃত শাক-পাতা। এসব শাকপাতার ঔষধি ও পুষ্টিগুণ মুগ্ধ হয়ে শুনছিল শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকবৃন্দ।
আজ (২৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় সাতক্ষীরা শহরের কনফিডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বারসিক এবং শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিম আয়োজিত ‘এসো প্রকৃতিকে জানি, পুষ্টির গল্প শুনি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রকৃতিতে প্রাপ্ত শাক, লতা-পাতার পুষ্টিগুণ তুলে ধরেন শহরের পুষ্টির ফেরিওয়ালা খ্যাত যুব উদ্যোক্তা রুহুল কুদ্দুস।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কনফিডেন্স ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক মোতাসিম বিল্লাহ, সহকারী প্রধান শিক্ষক আতাউজ্জামান, শিক্ষক পারভীন ইসলাম, বিউটি আক্তার, বারসিক’র গবেষণা সহকারী গাজী মাহিদা মিজান প্রমুখ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা, সংস্কৃতি ও বৈচিত্র্য রক্ষা টিমের সদস্য শিহাব হোসেন, আরিফ হাসান, মোনাইমু মিজান প্রমুখ।