পানির ওপর চাপ কমাতে রবিশস্য আবাদ করছেন বরেন্দ্র’র কৃষকরা
রাজশাহী থেকে উত্তম কুমার
দীর্ঘদিন থেকে তানোর থানা মোহর গ্রামে অত্যাধিক সার ও পানি প্রয়োগ করে আলু চাষাবাদ করে আসছেন সেখানকার কৃষকেরা। এতে মাটির উর্বর শক্তি যেমন কমছে তেমনি আবার ভূপৃষ্ঠের পানিও কমে যাচ্ছে। একটি জরিপে দেখা গেছে, আজ থেকে পাঁচ বছর আগে যে পরিমাণে সার দিয়ে আলু চাষাবাদ করা হতো। তার ডবল দিয়েও এখন সেরকম আলোর ফলন হচ্ছে না।
পানির ওপর চাপ কম তৈরি করার জন্য সেখানকার কৃষকদের রবি শস্য চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়। বারসিক সেখানকার কৃষকদের সাথে কথা বলে তাদেরকে রবি শস্য, যা কম পানি লাগে সেসব ফসল চাষে উৎসাহিত করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় তানোর থানার মোহর গ্রামের মোঃ সালাম মোল্লার (৪৫) তাকে রবিশস্য চাষাবাদে আগ্রহী করে তোলা হয়।
কৃষকদের শুধু উৎসাহিত না করে বারসিক আগ্রহী কৃষকদের মাঝে বীজও বিতরণ করেন। এভাবে তানোর এলাকার বেশ কয়েকজন কৃষক রবিশস্য আবাদ করছেন। তাঁরা সরিষা ও গম চাষ করছেন। এসব ফসল চাষে বেশি সেচের প্রয়োজন হয় না। একটি সেচ দিলেই ফসল ঘরে তোলা যায়। রাসায়নিক সারও প্রয়োজন পড়ে না।
অন্যদিকে আলু চাষে ৬/৭টি সেচের প্রয়োজন হয়। এছাড়া অত্যাধিক পরিমাণে কীটনাশক দেওয়ার প্রয়োজন হয়। আলু চাষ করতে ১ বিঘা জমির খরচ দিয়ে রবি শস্য প্রায় চার থেকে পাঁচ বিঘা করা সম্ভব। দুই বছর আগে বারসিক’র রবি শস্য বীজ এর সহযোগিতায় মোঃ সালাম মোল্লা রবি শস্য চাষাবাদ শুরু করেন এক বিঘা জমিতে। সালাম মোল্লার রবিশস্য চাষাবাদের সফলতা দেখে আশপাশের কৃষকরাও রবি শস্য আবাদে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। রবি শস্য চাষে পানির সমস্যা নেই, খরচ কম। এছাড়া বরেন্দ্র ডিপ টিউবওয়ের ঝামেলা নেই! মোহর গ্রামে প্রথমে একজন কৃষক রবি শস্য আবাদ শুরু করেছেন। তবে এখন আশপাশে অনেক কৃষক রবি শস্য চাষাবাদ করছেন।