আমাদের নির্দিষ্ট একটি বাসযোগ্য বাসস্থান তৈরি করে দেওয়া হোক
ঢাকা থেকে পূজা রানী মন্ডল
বারসিক’র উদ্যোগে সম্প্রতি ঢাকার মোহাম্মাদপুরে ‘বাসযোগ্য স্মার্ট নগর তৈরিতে সিটি কর্পোরেশনের ভূমিকা’ র্শীষক সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সংলাপে উপস্থিত ছিলেন ৩৩ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, আসিফ আহামেদ, কাপ’র নির্বাহী পরিচালক রেবেকা-সান-ইয়াত, বাপার সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস, বিওএসসি সভাপতি হোসনেয়ারা বেগম রাফেজা, বারসিক’র সমন্বয়ক জাহাঙ্গীর আলম, সহযোগী সমন্বয়ক নাজমা আক্তার, সহকারী কর্মসূচি কর্মকর্তা হেনা আক্তার রুপা, কমিউনিটি ফ্যাসিলিটেটর রুনা আক্তার, পূজা রানী মন্ডল প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ৩৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, আসিফ আহামেদ বলেন, ‘যে কোনো সমস্যা বা প্রয়োজন হলে নির্ভয়ে আমার অফিসে আসবেন এবং আসতে না পারলে আমাকে একটা মিস কল দিবেন আমি আপনাদের সকল সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করব। কারণ আমার ভোটার সংখ্যা ৭০ হাজার এবং বসবাস করে ৯ লাখ ৫০ হাজার মানুষ। আমার একার পক্ষে সকলের কাছে যাওয়া সম্ভব নয়।’
বাপার সাধারণ সম্পাদক মিহির বিশ্বাস বলেন, ‘জলবায়ু পরির্বতন হচ্ছে সারা বিশ্ব টের পাচ্ছে। বিশেষ করে এর প্রভাব দরিদ্র মানুষের ইপর পড়ছে। খাদ্য সামগ্রী ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করে তা দরিদ্র মানুষেরা সব সময় সকল সুবিধা পায় না। এই সুবিধাগুলো সকলের মাঝে সমানভাবে বণ্টন করে দিতে হবে।’
কাপ’র নির্বাহী পরিচালক রেবেকা সান-ইয়াত বলেন, ‘যারা রাস্তায় বা বস্তিতে এ বসবাস করে তারা সকল সুবিধা পায় না। হতদরিদ্র, ছিন্নমূল ও পথবাসিরা ভোটার অধিকার থেকে বঞ্চিত। যারা জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে নিজস্ব বাসস্থান ছেড়ে সব কিছু হারিয়ে শহরে বসবাস করে তারাই হলো বস্তিবাসী। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যে ক্ষতি হচ্ছে তার শিকার হচ্ছে আমাদের দেশের নিম্ম আয়ের মানুষেরা।’ তিনি আরও বলেন, যেখানে বাস্তিবাসীরা বসবাস করেন সেখানের বর্জ্য পরিষ্কার রাখা উচিত। কারণ এ থেকে বিভিন্ন রোগ জীবানু ছড়ায়। আর পরিবেশ রক্ষার জন্য গাছপালা ও সবজি বাগান করতে হবে।’
বোর্ড ঘাট থেকে ফারুক হোসেন বলেন, ‘যারা গ্রামের ভোটার তাদের তেমন কোনো সুবিধা দেওয়া হয় না শহরে। আমাদের জন্য জন্মনিবন্ধন ও ভোটার কার্ড যেন সুনিশ্চিত করা হয়। যখন ভোট হয় আমরা গরিব মানুষেরা সবার লাইনে দাঁড়িয়ে ভোট দেই। আর আমরাই সকল সুবিধা থেকে বঞ্চিত থাকি।’ চাঁদউদ্দ্যৗানের রহিমা বলেন, ‘আমরা অল্প টাকা দিয়ে সোনামিয়ার টেক এ থাকতে পারি। আমরা নদী ভাঙা মানুষ। শহরে এসে বস্তিতে থাকা ছাড়া আমাদের কোনো উপায় নেই। কিন্তু বর্তমানে আমাদের বস্তি উচ্ছেদ করে দিচ্ছে। আমাদের দাবি আমাদের নির্দিষ্ট একটি বাসযোগ্য বাসস্থান তৈরি করে দেওয়া হোক।
বোর্ড ঘাট থেকে রোজিনা বেগম বলেন, ‘আমাদের বোর্ড ঘাট এ যে খাল আছে সেখানে রেলিং এর ব্যবস্থা করে দেওয়া। আমাদের এলাকায় একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তা ঘাট ও বাড়িঘর ডুবে যায়। ছোট শিশুদের নিরাপদে রাখার জন্য ডেকেয়ার সেন্টার এর ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক এবং কিশোরীদের জন্য একটি পাঠাগারের ব্যবস্থা করার দাবি জানাই।’