বীজ সহযোগিতা পেয়ে আমার খুব উপকার হয়েছে

বারসিকনিউজ ডেক্স

জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে সবচেয়ে ঝূঁকিপূর্ণ জনপদ উপকূলীয় সুন্দরবন সংলগ্ন উপজেলা শ্যামনগর। এ এলাকার কৃষক থেকে শুরু করে অন্যান্য পেশাজীবী মানুষ প্রতিবছরই নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন বিভিন্ন দুর্যোগ আঘাত হানার কারণে। গত বছর এই উপকূলীয় এলাকায় ঘূর্ণিঝড় বুলবুল হানার কারণে বিভিন্ন জানমালের ক্ষতিসহ অনেক কৃষকের সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়ে যায়। এতে করে কৃষকরা যে স্বপ্ন নিয়ে বীজতলা করেছেন সেটি নষ্ট হওয়ায় চোখে অন্ধকার দেখছেন। কীভাবে আবার ফসল ফলাবেন, কীভাবে এসব ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারেন-তা নিয়ে তাদের চিন্তার শেষ নেই।

কৃষকদের এই অসহায়ত্বকে অনুধাবন করে এবং স্থানীয় জনগোষ্ঠীর চাহিদাকে মূল্যায়ন করে বারসিক’র উদ্যোগে বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের আড়পাংগাশিয়া, বিলআটি, কলবাড়ী, বুড়িগোয়ালিনী, দাতিনাখালী, পানখালী ও চুনা গ্রামে বীজ সহায়তা করা হয়। বীজ সহায়তা পাওয়ার পর স্থানীয় জনগোষ্ঠী পুনরায় ফসল চাষাবাদ শুরু করেছেন। স্বপ্ন দেখছেন ভালো ফলন হলে বুলবুলে যা ক্ষতি হয়েছে সেটি কাটিয়ে উঠে তারা আবার ঘুরে দাঁড়াবেন।


বর্ষাকালীন সবজি চাষাবাদ করছেন সহযোগিতাপ্রাপ্ত কৃষক পরিবার। বিলআটি গ্রামের স্বরদিনী রানী মন্ডল বারসিক থেকে সহযোগিতা পেয়ে ঢেড়স, বরবটি, ধুন্দল, শসা, লাউ, করল্লা, কুশি ডাটাশাক, পুইশাক ও মিষ্টি কুমড়া প্রভৃতি চাষাবাদ করেছেন। এ বিষয়ে স্বরদিনী রানী বলেন, ‘আমার বর্ষাকালীন ফসল ভালো হয়েছে। আমার বাজার থেকে সবজি কেনা লাগছে না। আত্মীয়স্বজনকে সবজি সহযোগিতা করতে পারছি।’


স্বরদিনী রানী মন্ডল এর মতো উপকূলীয় এলাকায় আরও অনেক কৃষক রয়েছেন যারা বীজ সহযোগিতা পেয়ে পুনরায় জমিতে চাষবাস করে সফল হয়েছেন।

happy wheels 2

Comments