শিক্ষকদের সম্মান ও সম্মানী বৃদ্ধির আহ্ববান
মো.নজরুল ইসলামঃ মানিকগঞ্জ
বারসিক’র উদ্যোগে মানিকগঞ্জ শহরস্থ স্যাক কার্যালয়ে বিশ্ব শিক্ষক দিবসে সমাজে বাল্য বিবাহ নারী নির্যাতন রোধসহ সামাজিক সহিংসতা প্রতিরোধে শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মতবিনিময় সভায় শিক্ষক আন্দোলনের নেতা মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর ইন্তাজ উদ্দিন এর সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক মনোয়ার হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন জেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক মীর মোকসেদুল আলম ও এ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ।
আলোচনায় আরো অংশগ্রহণ করেন বেগম জরিনা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আব্দুল করিম, সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মাইনুদ্দিন মিয়া, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কমরেড মুজিবুর রহমান মাস্টার,নারী নেত্রী শ্রীমতী লক্ষী চ্যাটার্জী, অধ্যাপক আনিসুর রহমান, সহকারী অধ্যাপক কবি কায়ুম শাহজী, অধ্যাপক আশুতোষ রায়, অধ্যাপক জয়নাল আবেদিন, অধ্যাপক আবুল বাশার,প্রধান শিক্ষক মো.মাসুদুর রহমান ও প্রভাষক সাইফুল ইসলাম বক্স দিপু প্রমুখ। কর্মসূচিতে সহায়ক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারসিক আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল চন্দ্র রায় ও প্রকল্প কর্মকর্তা মো.নজরুল ইসলাম।
আলোচনায় বক্তারা বলেন, ‘সমাজে শিক্ষকদের সম্মান মর্যাদা ও সম্মানী বৃদ্ধি করতে হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চলমান ইভটিজিং বাল্য বিবাহ নারী নির্যাতনসহ সামাজিক সহিংসতা রোধে সবাইকে সোচ্চার ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়াও শিক্ষক দিবস-২০২২ উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছেন। জানা গেছে, ১৯৬৬ সাল থেকে প্যারিসে শিক্ষকের মর্যাদা সংক্রান্ত আন্তঃসরকার সম্মেলনে ইউনেস্কো এবং আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা শিক্ষকদের অধিকার, দায়িত্ব এবং মর্যাদা সম্পর্কে একটি যৌথ সুপারিশমালা প্রণয়ন করে। উক্ত সুপারিশমালায় শিক্ষকতা পেশাকে সম্মানজনক অবস্থানে নেওয়াসহ শিক্ষক প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতি, দায়িত্ব ও অধিকার, চাকরির নিরাপত্তা, শৃঙ্খলা বিধানের প্রক্রিয়া, পেশাগত স্বাধীনতা, কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন, শিক্ষা সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণ প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ, কার্যকর শিক্ষাদান ও শিখনের পরিবেশ এবং সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছিল।
আন্তর্জাতিক এ সংগঠনটি পর্যায়ক্রমে জাতিসংঘের সদস্যভুক্ত দেশগুলো কর্তৃক প্রণীত দলিলটি যথাযথ বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করার অর্থবহ উদ্যোগ গ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম অধিবেশনের গৃহীত সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে ইউনেস্কোর তৎকালীন মহাপরিচালক ড. ফ্রেডারিক এম মেয়রের ঘোষণার মাধ্যমে ৫ অক্টোবর বিশ্ব শিক্ষক দিবস পালনের শুভ সূচনা হয়। প্রতি তিন বছর পরপর অনুষ্ঠিত আইএলও ইউনেস্কো যৌথ বিশেষজ্ঞ কমিটির সভায় উচ্চ শিক্ষায় নিয়োজিত শিক্ষকদের জন্য একটি সুপারিশমালা গৃহীত হয়। বিশ্ব শিক্ষক দিবস শিক্ষা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রে শিক্ষকদের অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ পালন করা হয়। বিশ্বের ১৬৭ টি দেশের এ দিবসটি পালিত হয়ে থাকে। এ দিবসটি পালনে এডুকেশন ইন্টারন্যাশনাল ও তার সহযোগী ৪০১টি সদস্য সংগঠন মূল ভূমিকা রেখে আসছে। এ সংগঠনটি বিশ্বের ৩ কোটি ২০ লাখ সদস্যের প্রতিনিধিত্ব করছেন।