শ্রীলংকায় প্রশিক্ষণ ও শিখন সহভাগিতা
শ্রীলঙ্কা থেকে ফিরে অর্পণা ঘাগ্রা, সৈয়দ আলী বিশ্বাস ও তৌহিদুল আলম
পার্টিসিপেটরি একশন রিসাস ও লোকায়ত জ্ঞান বিষয় দুটিকে প্রতিপাদ করে Regional Learning and Exchange Platform for Facilitating Change Processes towards Food Sovereignty এর ২য় সাউথ এশিয়া ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়েছে অক্টোবর ৬-১০, ২০১৭ আইল্যান্ডার সেন্টার, অনুরাধাপুরা, শ্রীলংকায়। PAN ASIA PACIFIC এবং MISERIOR–এর সহযোগিতায় স্থানীয় উন্নয়ন সস্থা VIKALPANI NATIONAL WOMEN’S FEDERATION কর্মশালাটি আয়োজনে সার্বিক দায়িত্ব পালন করে।।
প্রকৃতির এক মনোরম গ্রামীণ পরিবেশে অবস্থিত আইল্যান্ডার সেন্টারটি। সবুজে আচ্ছাদিত এর চারপাশে অসংখ্য গাছপালা ও প্রাকৃতিক জঙ্গল। একপাশে গোলাপি রঙের পদ্ম ফুলে পরিপূর্ণ চমৎকার প্রাকৃতিক একটি লেক। এই লেকের ধারে দেখা মেলে কুমির, গুইসাপ, ময়ুর, বিভিন্ন প্রজাতির বক ও পাখির। এখানে ঘুম ভাঙে বুনো ময়ূরের ডাকে। নিগম্ব শহর থেকে আইল্যান্ডার সেন্টারের উদ্দেশে ভোরবেলা যখন আমরা রওনা হলাম, জঙ্গলের মাঝখানে রাস্তার ধারে দেখা গেল পেখম তোলা নয়নাভিরাম ময়ুরের দল। গাইড জানালেন এখানকার মানুষেরা গবাদি পশুপাখি পালন করে না। জীব হত্যা করে না। তারা মাংসও খায় না। যে ক’টা দিন আমরা সেখানে ছিলাম, খাবার মেনুতেও কোনো ধরনের মাংস ছিল না। শুধু টোনা ও তেলাপিয়া মাছ খাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। এবারের কর্মশালায় মাঠ পরিদর্শনের পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার কৃষি ও কৃষকের জীবনযাত্রা গভীরভাবে জানার জন্য স্থানীয় কৃষকের বাড়িতে রাত্রী যাপনের ব্যবস্থাও ছিল। সহকর্মী ও পাঠকদের জন মাঠ পর্যায়ের অভিজ্ঞতাও শিখনগুলো এখানে তুলে ধরা হল।
চেনা (Chena): এক বিশেষ পদ্ধতির চাষাবাদ
চেনা হলো এক বিশেষ ধরনের স্থানান্তুরিত মিশ্র ফসল চাষাবাদ পদ্ধতি। সাধারণ চাষাবাদ ও চেনা চাষের জমির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। চেনা চাষের মাটির উপরের স্তরে ঝুরঝুরে বালি মাটি মনে হলেও মাটির ১-২ ইঞ্চি গভীরে থাকে আর্দ্র ও জৈব সার সমৃদ্ধ উর্বর মাটি। তাই চেনা পদ্ধতিতে চাষের ক্ষেত্রে কোন ধরনের সেচ, রাসায়নিক সার ও কীটনাশকের প্রয়োজন পড়ে না। এটি সম্পূর্ণই প্রকৃতিনির্ভর চাষাবাদ পদ্ধতি। বসতভিটায় বা সাধারণ জমিতে যেসব ফসল বা সবজি চাষ করা হয় সেখানে পানি দিতে হয় কিন্তু চেনা চাষের জমিতে পানি দিতে হয় না। ফসল চাষের জন্য তাদের রয়েছে দুটি মৌসুম Yala I Maha| Yala মৌসুমে বৃষ্টিপাত হয়। তাই এই মৌসুমে অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসে বৃষ্টি শুরু হওয়ার সাথে সাথে চেনা চাষাবাদ পদ্ধতি শুরু হয় এবং ফসল সংগ্রহ করেন ফেব্রুয়ারি মাসে। এখানে তারা ৯ ধরনের ফসল চাষ করেন (কাউন, গম, ভূট্টা, আলু, তিল, শিমুল আলু, বরবটি, পেঁপে, কাচাঁমরিচ)।
শ্রীলঙ্কার কৃষকদের কৃষিক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক চর্চার প্রতিফলন দেখা যায়। এখানকার মানুষ গণপতির উপর বিশ্বাসী। চেনা চাষাবাদ শেষ হলে নারকেল ও মিল্করাইস গণপতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা হয়। তারা গাছে নারকেল ঝুলিয়ে রাখেন। তাদের ধর্মীয় রীতি অনুসারে জীব হত্যা মহাপাপ। প্রচলিত বিশ্বাস কৃষিকাজেও শ্রীলঙ্কান কৃষকরা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে অনুসরণ করেন। চেনা যেখানে চাষ হয় চাষের পূর্বে সেই জায়গাটি জঙ্গল ও বন্যপ্রাীণতে পরিপূর্ণ হলেও বন্যপ্রাণি তাড়িয়ে জমি প্রস্তুত করেন। চেনা চাষাবাদের পূর্বে তারা যতটুকু জায়গায় চাষাবাদ করা হবে ঠিক ততটুকু জায়গা নির্ধারণ করে জায়গাটি আগুনে পোড়ানো হয়। পোড়ানোর পূর্বে লাঠি দিয়ে বা টিন জাতীয় কিছু পিটিয়ে জঙ্গল থেকে বন্য প্রাণীগুলোকে তাড়িয়ে দেওয়া হয়। প্রাণীগুলো অন্যত্র চলে গেলে জঙ্গল পুড়িয়ে চেনা চাষের জন্য জমি প্রস্তুত করা হয়। চেনা চাষাবাদের জন্য তারা প্রাকৃতিক পূর্বাভাস অনুসরণ করেন।
আমরা গিয়েছিলাম ওয়েডিনিগামা (Wedinigama) গ্রামে। এই গ্রামের কৃষক অমরাজ সিন্হা (৪০) একজন চেনা চাষী। তিনি ৫ একর জমিতে চেনা পদ্ধতিতে চাষাবাদ করেছেন। তিনি জানান, চেনা তাদের পিতৃপুরুষদের চাষাবাদ পদ্ধতি। যদিও এই পদ্ধতিতে চাষাবাদের চর্চা কমে যাচ্ছে দিন দিন। বর্তমানে বিষযুক্ত খাদ্য ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। তাই তিনি বিষমুক্ত খাদ্য উৎপাদনের জন্য পিতৃপুরুষের চেনা চাষাবাদ পদ্ধতিটি বেছে নিয়েছেন। অমরাজ জানালেন, এই গ্রামে ফসলের অন্যতম শত্রু হচ্ছে বন্য প্রাণী। বিশেষত হাতি। জৈব পদ্ধতিতে চাষাবাদ করলেও জমিতে তিনি গোবর ব্যবহার করেন না। কারণ গোবরের প্রতি হাতির আকর্ষণ বেশি থাকে। জমিতে গোবর দিলে হাতির আকমণ বাড়ে। জমিতে তিনি কিছু তিল চাষ করেন মূলত হাতি তাড়ানোর জন্য। কারণ তিলের গন্ধ হাতি সহ্য করতে পারে না। বন্যপ্রাণীর হাত থেকে ফসল রক্ষার জন্য তিনি জমির চারদিকে কাঁটাতারের বেড়া দিয়েছেন। তার চারপাশে প্রাকৃতিকভাবে জন্মানো মানা (Penicum maxiwum) ঘাস প্রাকৃতিক বেড়ার কাজ করে। এছাড়া বাগানের মাঝখানে বড় একটি গাছের ডালে ঘর তৈরি করে সেখানে অবস্থান করেন এবং ঐ ঘর বরাবর নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে অপর একটি গাছে টিন দিয়ে তৈরি করা ঘণ্টা টানিয়ে রেখেছেন এবং পশু পাখি আসলেই দড়ি টান দিয়ে শব্দ তৈরি করে পশু পাখি তাড়াচ্ছেন। এখানে লোকায়ত পদ্ধতির চাষাবাদ ও ফসল সংরক্ষণ কৌশল আমাদের মুগ্ধ করে।
জৈব কৃষি: বসতভিটায় নিরাপদ সবজি উৎপাদন
ওয়েডিনিগামা গ্রামেরই কৃষাণী আয়রা আঙ্গনী (৫৫)’র বাড়িটি যেন জৈবকৃষির একটি শিক্ষা কেন্দ্র। বেশ বড় ধরনের বসতভিটার চারপাশে শাক, সবজি, ফলজ ও বনজ গাছে কানায় কানায় পরিপূর্ণ চারিপাশ। কৃষাণী আয়রা আঙ্গনী কিছু কিছু শাক সবজি বেড তৈরি করে চাষ করেছেন আবার কিছু কিছু সবজি মাটির টব ও মাঝারি আকারের পলিব্যাগে চাষ করেছেন। তারা স্বল্পমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী সময়কাল হিসেব করে সবজি চাষ করেন। তবে দীর্ঘমেয়াদী (বারোমাসী মরিচ, বারোমাসী বেগুন প্রভৃতি) সবজিগুলোর বেশির ভাগই টব বা পলিব্যাগে চাষ করেন। তার বাগানে পেঁয়াজ, রসুন, লাল শাক, ডাটা, থানকুনি, হেলেঞ্চা প্রভৃতির পৃথক পৃথক বেডও আছে। মাটির উর্বরাশক্তি বৃদ্ধিতে রাসায়নিক সারের পরিবর্তে কুইক কম্পোস্ট, লিকুইড সার ব্যবহার করেন। কুইক কম্পোস্ট তৈরিতে শুকনো গোবর, ধানের কুড়া, খইল ব্যবহার করেন। সবগুলো উপকরণ একসাথে মিশিয়ে পলিশেক ব্যাগে ৬০-৭০ সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রায় ৫ দিন রাখলেই কম্পোস্ট ব্যবহারের উপযোগী হয়ে ওঠে। লিকুইড সার তৈরি করেন ১ ভাগ কাঁচা গোবরের সাথে ২ ভাগ সবুজ (বরবটি, ইপিল ইপিল প্রভৃতি) লতাপাতা। এই লিকুউড সার তৈরির জন্যই তিনি লিগিউম (বরবটি) চাষ করেন। এভাবে ১২-১৫দিন রেখে দিলেই তা ব্যবহারের উপযোগী হয়ে ওঠে। এছাড়া পোকামাকড় দমনের জন্য জাগড়ি (গুড়) দিয়ে কীটনাশক তৈরি করেন। এই পদ্ধতিগুলো তিনি এক বছর যাবৎ ব্যবহার করছেন। তার পূর্বে তিনি শুধুমাত্র শুকনো গোবর ব্যবহার করতেন বলে জানান। এর জন্য তিনি কো অপারেটিভ সোসাইটি-র কাছ থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন।
আনলাওয়াথি: একজন অভিজ্ঞ নারী কবিরাজ
এই গ্রামে আনলাওয়াথি (৬৭) নামে একজন অভিজ্ঞ নারী কবিরাজ’র সঙ্গে দেখা করি আমরা যিনি ১৯৬৫ সাল থেকে গ্রামের মানুষদের ভেষজ চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন। তিনি সাধারণ রোগের পাশাপাশি অনেক জটিল রোগের চিকিৎসাও করে থাকেন। বিধবা আনলাওয়াথি’র বসতভিটার চারপাশ ঔষধি গাছে পরিপূর্ণ।
ঠিক কত ধরনের ঔষধি গাছ আছে তা তিনি হিসেব কষে বলতেও পারেননি। তবে জানালেন, যত ধরনের ঔষধি গাছের প্রয়োজন তার সবই বসতভিটার বাগানে আছে। তাঁর মৃত্যুর পরে এই কাজকে পরিচালনার জন্য তিনি তার মেয়েকে শিখিয়েছেন। তাঁর মেয়েও এখন একজন ভেষজ চিকিৎসক।
ভূ উপরিস্থ পানি সংরক্ষণ: সার্বজনীন পানি ব্যবস্থাপনায় সেচ সমস্যার সমাধান
প্রাকতিকভাবে কালাঞ্চি (Kallanchi) নামক স্থানটি খরাপ্রবণ। এখানে কৃষকদের একটি সংগঠন আছে। সংগঠনের কৃষকরা পানি স্বল্পতার কারণে চাষের জন্য কমন প্রোপারটি বা সার্বজনীন সম্পদ ববস্থাপনার ভিত্তিতে চাষের জন্য জমির পরিমাণ নিজেরাই নিধারণ করে চাষাবাদ করেন। ভূ উপরিস্থ পানি সংরক্ষণের জন্য বৃহদাকৃতির কৃতিম জলাশয় (আমাদের দেশের পাকতিক বিলের মতো) তৈরি করে পানি সংরক্ষণ করেন যার স্থানীয় নাম Ellangawa Cascade system hv Community water tank হিসাবে পরিচিত। এই ওয়াটার ট্যাংকে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসের মধ্যে বৃষ্টি থেকে শুরু করলে পানি জমা হতে থাকে। তারা নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে জমি প্রস্তুতি শেষ করে। ট্যাংকে যখন অর্ধেক পানি জমা হয় তখন তারা ফসল বপন করতে পারেন। সর্ব উপরিভাগে অবস্থিত ট্যাংকে পুরোপুরিভাবে পানি ভরে গেলে কালিংগুওয়া (স্থানীয় নাম- স্øুইস গেইট) পদ্ধতিতে অন্য ট্যাংকে পানি ছেড়ে দেয়। পদ্ধতিটি বর্ণনার সময় জানা গেল, এই রকম ওয়াটার ট্যাংক ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে রয়েছে প্রায় ৩৪টি। এক্ষেত্রে সর্ব উপরিভাগে অবস্থিত ট্যাংকের কাছাকাছি যেসব কৃষক চাষাবাদ করে তারা সবার আগে চাষাবাদ করার সুযোগ পেয়ে যায়। কারণ তারা আগে পানি পেতে শুরু করে। অনেকসময় বৃষ্টির পরিমাণ কম হলে বা দেরিতে বৃষ্টিপাত হলে প্রথম ট্যাংকটি পূর্ণ হতে বেশি সময় লেগে যায় তখন পরবর্তী ট্যাংকের পানির উপর নির্ভরশীল কৃষকদের পানি পেতে বেশ সময় লাগে। ফলে উপযুক্ত সময়ে ফসল চাষ করতে পারে না। এরূপ পরিস্থিতিতে তারা প্রথম ট্যাংকের কাছে যেসব কৃষক আছে তাদের জমিতে ফসল উৎপাদন করেন। এর জন্য কোন ধরনের মূল্য দিতে হয় না। এমনকি তারা কেউ জমির মালিকানা দাবি করে না। যার যার প্রয়োজন মতো জমি নিয়ে সবাই চাষাবাদ করার সুযোগ পায়। এভাবে এক কৃষক আরেক কৃষকের সাথে নিঃশর্তে বা বিনামূল্যে জমি শেয়ার করাটা তাদের উদার মানসিতারই পরিচয় দেয়।
সেচ কাজ শেষ হলে তারা ট্যাংকে ক্ষুদ্র পরিসরে মাছ চাষ করেন। এতে তারা তেলাপি, কাতলা, গ্রাসকার্প, সিলভারকার্প জাতীয় মাছ চাষ করে। এতে ৮ মাসের মতো মাছ চাষের সুযোগ পায় তারা। মাছ চাষের টাকা সদস্যদের মধ্যে বণ্টন করা হয়। এছাড়ার ট্যাংকের কিনারের চারপাশে প্রচুর অচাষকৃত শাক সবজি (পদ্ম, লালচানল, প্রভৃতি) রয়েছে সেগুলো বিক্রি করেও বাড়তি আয় করেন তারা। পদ্ম শুধুমাত্র সবজি হিসেবে নয় ডায়াবেটিক রোগের ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয় এখানে। এছাড়াও এটি মানবদেহের কলেষ্টরল কমায় এমনকি নিয়মিত খেলে এক মাসের মধ্যে শরীরের মেদ কমে বলে জানান।
কমিউনিটি ওয়াটার সাপ্লাই ট্যাংক: নিজেদের উদ্যোগে সুপেয় পানির সরবরাহ
ওয়েডিনিগামা গ্রামে কৃষকদের বাড়িতে আমরা রাত্রিযাপন করি। প্রতিটি বাড়িতে দুজন করে প্রশিক্ষণাতী অবস্থান করেন। তাদের কাছ থেকে জানতে পারলাম এই এলাকায় সমাজের জনগণের সম্মিলিত উদ্যোগে পানীয় জলের সরবরাহ ব্যবস্থাটি গড়ে উঠেছে। প্রত্যেক বাড়ি থেকে চাঁদা নিয়ে এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে সহযোগিতা নিয়ে এক জায়গায় তারা বড় ধরনের Community water supply tank স্থাপন করেছেন। সেখান থেকে প্রত্যেক পরিবার নিজ নিজ বাড়ি পর্যন্ত পানির লাইন দিয়েছেন। পানির জন্য প্রত্যেক পরিবার প্রতিমাসে ১,০০০ (এক হাজার) টাকা বিল দেন। এটি এলাকার জনগোষ্ঠী একটি কমিটির মাধ্যমে পরিচালনা করছেন। বস্তুত শ্রীলঙ্কার অনেক কিছুই রয়েছে যা শিক্ষণীয় একই সাথে অনুকরণীয়।
নারিকেল বক্ষে সুশোভিত শ্রীলঙ্কায় নারিকেল ও নারিকেল গাছের প্রতিটি অংশের রয়েছে নানামাত্রিক ববহার যা এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির কৃষক পরিবারগুলোর খাদ্য সার্বভৌমত্ব নিশ্চিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।
জননেতৃত্বে উন্নয়ন প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে খাদ্যসার্বভৌমত্ব অর্জনের লক্ষ্যে পার্টিসিপেটরি একশন রিসাস ও লোকায়ত জ্ঞান বিষয়ক পাঁচ দিনব্যাপী সাউথ এশীয় দ্বিতীয় রিজিওনাল ওয়ার্কশপে সহায়কের দায়িত্ব পালন করেন ভারতের সাগরী রাম দাশ ও ফিলিপাইনের বেস কজাডা । বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন উন্নয়ন সস্থার ২৩ জন অশগহণ করেন।